পরিত্যক্ত দ্বীপে ঝিনুক ইঁদুর খেয়ে ৩৩ দিন
বাহামিয়া অঞ্চলের পরিত্যক্ত আনগুলিয়া ক্যা দ্বীপে ৩৩ দিন ধরে আটকা ছিলেন কিউবার তিন নাগরিক| ছবি: টুইটার
মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে পরিত্যক্ত এক মরু দ্বীপে আটকা পড়া কিউবার তিন নাগরিককে উদ্ধার করেছে; যারা এই দীর্ঘসময়ে সেখানে শুধুমাত্র নারিকেল, ঝিনুক এবং ইঁদুর খেয়ে বেঁচে ছিলেন। উপকূলরক্ষীরা এই দ্বীপের আকাশে টহলের সময় কিউবানরা একটি পতাকা উড়ালে তাদের নজরে আসে; পরে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
কিউবার এই নাগরিকদের দলে দু’জন পুরুষ এবং একজন নারী ছিলেন; নৌকা তলিয়ে যাওয়ার পর যারা বাহামিয়া অঞ্চলের বসবাসের অযোগ্য আনগুলিয়া ক্যা দ্বীপে ৩৩ দিন ধরে আটকা ছিলেন। ফ্লোরিডার কীস থেকে নিয়মিত মিশনে ফ্লাইট উড্ডয়নের পর যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আনগুলিয়া ক্যা দ্বীপে ওই তিনজনকে দেখতে পান।
বিজ্ঞাপন
#BreakingNews @USCG is assisting 3 people who have reportedly been stranded on Anguilla Cay, Bahamas for 33 days. An Air Station Miami HC-144 Ocean Sentry aircrew has dropped a radio, food and water. More to follow.#D7 #Ready #Relevant #Responsive #searchandrescue #USCG pic.twitter.com/D263ptTarz
— USCGSoutheast (@USCGSoutheast) February 9, 2021
বিজ্ঞাপন
হেলিকপ্টারের পাইলট মাইক অ্যালার্ট মিয়ামি টেলিভিশনকে বলেন, তারা পতাকা উড়িয়ে আমাদের সংকেত দিয়েছিলেন। তিনজনের দলটি আসলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পরিত্যক্ত দ্বীপটিতে আটকা পড়েন।
উদ্ধারের পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফ্লোরিডা সান সেন্টিনেলকে উপকূলরক্ষীরা বলেন, দ্বীপে থাকাকালীন কিউবার নাগরিকদের এই দলটি সেখানে নারিকেল, ঝিনুক এবং ইঁদুর খেয়ে বেঁচে ছিলেন।
পরে ওই দ্বীপে কী ঘটেছে তা জানার জন্য আনগুলিয়া ক্যা দ্বীপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট মাইক। গত সোমবার এই দ্বীপে বিশুদ্ধ পানি, খাবার এবং একটি রেডিও পৌঁছে দিতে যান একজন ক্রু। মঙ্গলবার সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারযোগে আটকা তিন কিউবানকে উদ্ধার করা হয়।
মার্কিন উপকূলরক্ষী কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তাল সাগরে তাদের নৌকা তলিয়ে যায় এবং তারা সাঁতার কেটে ওই দ্বীপে পৌঁছাতে সক্ষম হন। আনগুলিয়া ক্যা দ্বীপে কঠিন পরিস্থিতি থেকে রেহাই মেলায় তারা আমাদের দেখতে পেয়ে খুব খুশি হন। তবে কিউবার এই নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
এসএস