সমুদ্রের গভীরে ভূমিকম্পের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের ফিজি দ্বীপপুঞ্জে শুরু হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। এর প্রেক্ষিতে ফিজির প্রতিবেশি দেশ নিউজিল্যান্ডেও কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এতে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার মধ্যরাতে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের গভীরে সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর জেরে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফিজিসহ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একাধিক অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এনডব্লিউএস প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার।

ফিজি জানিয়েছে, এর মধ্যেই ০ দশমিক তিন মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়েছে ওই দ্বীপপুঞ্জে। তবে ক্ষয়ক্ষতির কথা এখনও জানা যায়নি। নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন উপকূল অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পটি হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠে। নিউ ক্যালেডোনিয়া দ্বীপ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের নিচে ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সুনামি সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এনডব্লিউএস প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে- ফিজি, নিউজিল্যান্ড এবং ভানুয়াতু অঞ্চলে ০ দশমিক তিন মিটার থেকে এক মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ এক মিটার পর্যন্ত ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও আছে। ফিজিতে এর মধ্যেই শূন্য দশমিক তিন মিটারের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। নিউজিল্যান্ডও যথেষ্ট সতর্ক।

অস্ট্র্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস বলছে, সুনামির পাশাপাশি দেশের উপকূল অঞ্চলে সমুদ্রে অস্বাভাবিক স্রোত, আন্ডার কারেন্ট দেখা যেতে পারে। ফলে মৎসজীবীদের আপাতত সমুদ্রে না যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

ওই অঞ্চলে সর্বশেষ সুনামি হয়েছিল ২০১৮ সালে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই সুনামিতে। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে আছড়ে পড়েছিল সমুদ্রের ঢেউ। প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ সেই ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছিলেন। এখনো তাদের সবাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সূত্র: ডি ডব্লিউ।

এসএমডব্লিউ