শারদ পাওয়ার

ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে আর থাকছেন না শারদ পাওয়ার। বিজেপিবিরোধী দলগুলো তাকে এ নির্বাচনে চাইলেও এতে রাজি হননি তিনি।   

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর বৈঠকের পরই এ কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে একটি টুইটে শারদ পাওয়ার লেখেন- ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধী নেতাদের আমার নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। দিল্লির মিটিংয়ে তারা আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু আমি বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়েছি, সে কথা আমি জানালাম। 

তার পক্ষের লোকেরা বলছে, রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় থাকতে চান বলেই রাষ্ট্রপতি পদ তাকে টানছে না। এখন কে তার বিকল্প হবেন সেটা আবার বৈঠকে বসে ঠিক করবে বিজেপি-বিরোধী শিবির।  

মমতার ডাকা এই মিটিং শেষ পর্যন্ত এড়িয়ে গেছে আপ নেতৃত্ব। দিল্লিতে মিটিং হলো,  অথচ দলের কেউ এলো না। এমনকি তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, ওড়িশার বিজেডির মতো দলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন না মমতার ডাকা মিটিংয়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ১৭টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি।  

শারদ পাওয়ারের বিকল্প হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম আসছিল। গতকাল সন্ধ্যায় উঠে এসেছে জম্মু-কাশ্মিরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহর নামও। তবে শেষ পর্যন্ত কাকে পছন্দ হয় বিরোধীদের তা সময় বলে দেবে। তবে নাম কয়েকদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে গতকালের বৈঠকে থেকে। 

বৈঠক শেষে কংগ্রেস নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি বলেন, দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছে একজন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, শারদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করার আবেদন সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছিল বিরোধীদলগুলো। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তাই নতুন নাম ভাবতে হচ্ছে। 

শারদ পাওয়ার বলেন, কয়েকটি দল মিটিংয়ে উপস্থিত হয়নি, নানারকম কারণ হয়তো ছিল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে দেওয়া হবে।     

তবে শারদ পাওয়ার কেন রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে চান না, তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। সেখানে যেসব কারণ দাঁড় করানো হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে- জয় নিয়ে অনিশ্চিয়তা, নিজের দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুর্ভাবনা, মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের ভবিষ্যৎ, একাধিক ইডির তদন্ত, বিজেপি ও মোদির সঙ্গে সম্পর্ক।  

এনএফ