দুইশ বছর ধরে ভাসছে পৃথিবীর একমাত্র পোস্ট অফিস
বৈচিত্রে ভরা দেশ ভারত। দেশটি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চমকে দেওয়া মতো বৈচিত্র। তারই একটি শ্রীনগরের ভাসমান পোস্ট অফিস। পাহাড় ঘেরা ডাল লেকে এই পোস্ট অফিসটি হলো দুনিয়ার একমাত্র ভাসমান পোস্ট অফিস।
বিশাল একটি হাউসবোটে চলছে এই পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিসের ব্যবহার এখন অনেক কমলেও অন্যান্য আর পাঁচটা পোস্ট অফিসের মতো এখনও কাজ হয় নিয়মিত। পর্যটকরা এমন এক আশ্চর্য পোস্ট অফিস দেখতে ভিড় করেন ডাল লেকে। কেউ কেউ এখন থেকেই চিঠি পোস্ট করেন কাশ্মীর ভ্রমণের স্মৃতি অমলিন করে রাখতে।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ আমলে চালু হয়েছিল এই পোস্ট অফিসটি। সবেমিলিয়ে এই পোস্ট অফিসের বয়স এখন ২০০ বছর। এই পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান চিঠি পোস্ট করেন শিকারা চড়ে।
এই পোস্ট অফিসের যে সিলমোহরেও রয়েছে বিশেষত্ব। পোস্ট অফিসের নামধাম, তারিখের সঙ্গে স্টাম্পে দেওয়া হয় একটি শিকারার ছবি। শিকারা চড়ে চিঠি পৌঁছে দিতে অনেকটাই সময় লাগে পোস্টম্যানের। তারপরেও এই কাজকে উপভোগ করেন ভাসমান বোটের এই পোস্টম্যান। পোস্ট অফিসটিতে রয়েছে ছোট ছোট দুটি ঘর। একটি হলো অফিস ঘর। অন্যটি টিকিটের মিউজিয়াম। পোস্ট অফিসের কার্যকালের ইতিহাস ধরার চেষ্টা হয়েছে এই জাদুঘরে।
বিজ্ঞাপন
ভাসমান এই পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার ফারুক আহমদ ভারতীয় এক গণমাধ্যমে বলেন, মহারাজা বা ব্রিটিশ শাসনের আগে তৈরি হয় এই পোস্ট অফিস। বয়স ২০০ বছরের বেশি। উপত্যকায় যখন পর্যটকদের ঢল নামে তখন আমাদের কথা বলার সময় থাকে না। হাজার হাজার মানুষ এসে এখানে ছবি তোলেন। চিঠি পোস্ট করেন। অনেকে এখান থেকে বিশেষ ধরনের পোস্টকার্ড, টিকিট কেনেন।
ইন্টারনেট আসার পর পোস্টাল সিস্টেম এক জোরাল ধাক্কা খেয়েছে। কাগজে কলম দিয়ে লেখার ব্যাপারে এখন অনীহা মানুষজনের। তার বদলে খুব সহজেই একটি মেসেজ করে কাজ সেরে ফেলছে। তারপরেও টিকে আছে এই পোস্ট অফিস।
আইএসএইচ