ফুটবল ম্যাচ শেষে দুই দলের ভক্তদের সংঘর্ষ ও পদদলনে ইন্দোনেশিয়ায় ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৮০ জন।  ফুটবল ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন। এবারই যে প্রথম তা নয়! ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ইন্দোনেশিয়ায় অতীতেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ বেঁধেছে। তবে সেগুলোতে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে ইন্দোনেশিয়ায় মাঝে মাঝেই দাঙ্গা হয়ে থাকে। হোক দেশে বা দেশের বাইরে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের ম্যাচে জাকার্তায় মালয়েশিয়ার সমর্থকদের হুমকি দেন ইন্দোনেশিয়ার সমর্থকরা। এমনকি তাদের উদ্দেশে পাথরও ছোড়া হয়। স্টেডিয়ামে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পরই মালয়েশিয়ার সমর্থকদের বের করে আনে পুলিশ। এছাড়াও অতীতেও বিভিন্ন ক্লাব ম্যাচে এমন দাঙ্গা হয়েছে।

পুলিশি ব্যর্থতা

ফিফা-তে নিয়ম রয়েছে খেলার মাঠে এমন দাঙ্গা হলে সমর্থকদের ওপর কোনো গ্যাস বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যায় না। তবে কানজুরুহান স্টেডিয়ামে কেন টিয়ার শেল ছোড়া হলো সে বিষয়ে এখনও ইস্ট জাভা পুলিশ কোনো বক্তব্য দেয়নি।

এদিকে পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের সাহায্য করা হবে। আরেমা এফসি-কে নিজেদের ঘরের মাঠে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে দেবে না দেশটি।

২০১৫ সালে ফুটবল সংগঠনে সরকারি অনুপ্রবেশের কারণে ইন্দোনেশিয়াকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তার এক বছর পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। শর্ত দেওয়া হয়, ক্লাবের ম্যাচে বিপক্ষের সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে ২০১৭ সালের মে মাসে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ছিল দেশটির। পাশাপাশি এশিয়ান কাপ আয়োজনের জন্যও বিড করে তারা।

এমএইচএস