১০ বছর পর ইইউ-ইসরায়েল উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
এক দশক পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছে ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (৩ অক্টোবর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ ‘টু স্টেট’ সমাধান চাইছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক।
বৈঠকের পর ইইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রাসেলসের আলোচনায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ এসেছিল। ২০১২ সালের পর এই প্রথম অ্যাসোসিয়েশন কাউন্সিলের বৈঠক হলো।
বিজ্ঞাপন
জোসেফ বোরেল জানিয়েছেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো দুই পক্ষেরই উদ্বেগের কারণ।’
এই বিষয়ের মধ্যে অন্যতম ছিল ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনা। এছাড়া জাতিসংঘে লাপিদ যে কথা বলেছেন বোরেল তা সমর্থন করেছেন। সম্প্রতি জাতিসংঘে লাপিদ বলেছেন, ‘টু স্টেট ও টু পিপল বা দুই দেশ, দুই দেশের নাগরিক এই ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে।’
বিজ্ঞাপন
বোরেল বলেছেন, ‘আমরাও এটা চাই। আমরা চাই, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হোক। দুই দেশ সমাধানসূত্র মেনে সার্বিক আঞ্চলিক চুক্তি হোক। আমাদের দেখতে হবে, বাস্তবে কী করে এর জন্য এগোতে হবে।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে লাপিদের বক্তব্যের জবাবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল এলাকা দখলের নীতি নিয়ে চলছে। তাই ন্যায় ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির সম্ভাবনা কমছে।’
বোরেল বলেছেন, ‘জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ফিলিস্তিনি এলাকায় পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ২০০৭ সালের পর ওখানে এত মানুষ সংঘর্ষে মারা যাননি।’
এদিকে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নতুন করে কার্যকর করা নিয়েও আলোচনা করেছে ইসরায়েল এবং ইইউ। গত মাসেই জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে বৈঠকের পর লাপিদ বলেছিলেন, এই চুক্তির নবীকরণ হলে তা বড় ভুল হবে।
বোরেল বলেছেন, ‘এই বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ইইউয়ের মতভেদ আছে। তবে এখন এই বিষয়ে আলোচনা বন্ধ আছে।’
টিএম