‘ভারতের প্রথম ভোটার’ খেতাব পাওয়া শ্যাম সরন নেগি ১০৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। শনিবার মারা যাওয়ার তিন দিন আগেও এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হিমাচল রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ শাসনের শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার পর ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নেগি প্রথম ভোট দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। ১৯৫২ সালের নির্বাচনের সময়ে নেগির রাজ্যে তুষারপাতের শঙ্কায় পাঁচ মাস আগে ১৯৫১ সালেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। আর তাতে তিনি ভোট দিয়েছিলেন। এরপর থেকে নেগি প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।    

ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পায় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। আর জওহরলাল নেহেরু ভারতে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১২ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে নেগি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সময় তার জন্য লাল গালিচা বিছিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেগি ভোটকেন্দ্রে যাননি। অসুস্থ থাকায় তিনি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।

২০১৪ সালে নেগি ভারতের নির্বাচন কমিশনের দূত হয়েছিলেন লোকজনকে ভোটে উৎসাহ দিতে। গুগলের একটি ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে ওই বছরের সাধারণ নির্বাচনে তিনি লোকজনকে ভোট দিতে উৎসাহ দিচ্ছেন।

গেল বুধবার নেগি পোস্টাল ভোট দেওয়ার পর ভারতের দ্য ট্রিবিউট গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়, তিনি বিবৃতিতে তরুণদের ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

শনিবার এক নির্বাচন র‍্যালিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেগির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দেশটির সরকার বলছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রাম কালপায় তাকে দাহ করা হবে।

আরএইচ