মার্কিন ট্রেজারিমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন

চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনী সামরিক অভিযানের পর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে রাশিয়ার রিজার্ভ অর্থ জব্দসহ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেশটির নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়ার সমরাস্ত্র, যুদ্ধযান ও অন্যান্য সামরিক উপকরণ সরবরাহকারীদেরও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি২০ সামিটের বৈঠক শুরু হয়েছে। সেই বৈঠকে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেই বৈঠকে ছিলেন ট্রেজারি মন্ত্রী।

বৈঠকের অবসরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, রাশিয়াকে অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ সরবরাহ বা এসব কিনতে অর্থ  সহায়তা প্রদান করে— এমন ১৪ জন ব্যক্তি এবং ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করেছে মার্কিন সরকার। শিগগিরই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে নস্যাৎ করতে ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন নিষেধাজ্ঞাও সেসব পদক্ষেপেরই অংশ। আমরা চাই, রাশিয়া যেন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আর সমরাস্ত্র ও সামরিক উপকরণ কিনতে না পারে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন ট্রেজারিমন্ত্রী।

কোন কোন কোম্পানি ও ব্যক্তিকে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলেননি ইয়েলেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ উৎপাদনকারী বড় রুশ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রাশিয়ায় মার্কিন সামরিক উপকরণ ও প্রযুক্তির রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে।

এসব নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ইতোমধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে পড়া শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

পাশাপশি যতদিন এই যুদ্ধ চলে, ততদিন ইউক্রেনকে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন জ্যানেট ইয়েলেন।

সূত্র : রয়র্টাস

এসএমডব্লিউ