মিসাইল কারা নিক্ষেপ করেছে তা নিয়ে অকাট্য প্রমাণ নেই: পোল্যান্ড
ইউক্রেনীয় রাজধানী কিয়েভের একটি আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। মঙ্গলবারের ছবি
সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশ পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পরপরই বিশ্ব রাজনীতিতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) হওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এই ঘটনার জন্য অনেকে রাশিয়াকে দায়ী করছেন।
তবে রাশিয়ার তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠিক কারা নিক্ষেপ করেছে তা নিয়ে অকাট্য কোনো প্রমাণ নিজেদের হাতে নেই বলে জানিয়েছে পোল্যান্ড। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সীমান্তের কাছে একটি গ্রামে বিস্ফোরিত হওয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠিক কারা ছুঁড়েছিল তার কোনো অকাট্য প্রমাণ পোল্যান্ডের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। এছাড়া এই ঘটনাকে তিনি ‘একপাক্ষিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ঘটনার পরও ওয়ারশ শান্ত রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পূর্ব পোল্যান্ডের প্রজেওডো নামক গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হন। ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ হওয়া ওই গ্রামটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার (৩.৫ মাইল) দূরে অবস্থিত বলে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই গ্রামের শস্য শুকানোর একটি বস্তুকে আঘাত করে।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যে ঘটা এই ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং অনেকে রাশিয়াকে দোষারোপ করেন। তবে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কারা নিক্ষেপ করেছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে এই মুহূর্তে কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই... এটি সম্ভবত একটি রাশিয়ান তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তবে এই মুহূর্তে বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।’
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানায়, রাশিয়ার তৈরি রকেট পোল্যান্ডের একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট দুদা বলেছেন, বিস্ফোরণের পর পোল্যান্ড এখন খুব সম্ভবত ন্যাটো সামরিক জোটের আর্টিকেল-৪ এর অধীনে পরামর্শের জন্য অনুরোধ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত আগামীকাল সকাল ১০ টায় ন্যাটো সদর দপ্তরে উত্তর আটলান্টিক কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন ... খুব সম্ভবত রাষ্ট্রদূত আর্টিকেল ৪ সক্রিয় করতে, বা জোটভুক্ত ভাবে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করবেন।’
এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ম্যাতেউসুজ মোরাউইচকি বলেন, পোল্যান্ড তার আকাশসীমায় নজরদারি আরও বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আকাশপথ পর্যবেক্ষণের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচিত ইউনিটগুলোর যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
টিএম