ধুতি-পাঞ্জাবি পরে মোদির সমাবেশস্থলে জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকতায় ব্রিগেডে অংশ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৭ মার্চ) এই ঐতিহাসিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ধুতি-পাঞ্জাবি পরে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সবার নজর এখন ‘ফাটাকেষ্ট’ খ্যাত এই অভিনেতার দিকে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, রোববার ব্রিগেডের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এসময় গলায় উত্তরীয় পরিয়ে তাকে পদ্মশিবিরে স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মোদির মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন মিঠুন, এমনই জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। শনিবার রাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে মিঠুনের সাক্ষাৎ এই জল্পনাকে অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়।

বৈঠকের পর কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘গভীর রাত পর্যন্ত বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন দাদার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হল। দেশের প্রতি তার ভালোবাসা এবং দরিদ্র মানুষের প্রতি তার অবদানের কাহিনী শুনে আমার হৃদয় পরিপূর্ণ।’

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর সাক্ষাৎ

সূত্রের খবর, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মিঠুনের বাড়িতেই ছিলেন এই বিজেপি নেতা। রাজনীতি, নির্বাচন ও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। অবশ্য মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিজেপির সখ্যতা বেশ আগে থেকেই। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বাইয়ের বাড়িতে যান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থার (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেদিন দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিজেপির এই হাই ভোল্টেজ ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব। এই আগে ব্রিগেডের প্রচারণার অংশ হিসেবে রাজ্যব্যাপী প্রচার, মিছিল, সভা করেছে দলটি। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা নরেন্দ্র মোদি এই ব্রিগেড থেকে কী বার্তা দেন সেই দিকে তাকিয়ে দলের রয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের দিয়ে ব্রিগেড ময়দান পূর্ণ করতে সব রকম উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। ব্রিগেডের পুরো ময়দানকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছে, থাকছে বড় পর্দাও। এছাড়া মূল মঞ্চের পাশে থাকছে আলাদা দু’টি মঞ্চ। সমাবেশ থেকে নরেন্দ্র মোদি কী বার্তা দেন এটাই এখন দেখার বিষয়।

টিএম