নিজ চোখে বাবার মৃত্যুদণ্ড দেখতে মেয়ের আর্জি, প্রত্যাখ্যান আদালতের
নিজের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে জেলে গিয়েছিলেন খোরি
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে ২০০৫ সালে এক শেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন কেভিন জনসন নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে এ হত্যার দায়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।
কেভিন জনসনের ১৯ বছর বয়সী মেয়ে খোরি রামে চেয়েছিলেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় বাবার পাশে থাকতে। কারণ তার বাবা ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নিজের মৃত্যুদণ্ডের সময় যেন তিনি তার পাশে থাকেন। জনসনের এ ইচ্ছা পূরণে খোরির পক্ষে আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল লিবার্টি ইউনিয়ন।
বিজ্ঞাপন
তবে ১৯ বছর বয়সী খোরির এ আবেদন রোববার প্রত্যাখ্যান করেছেন মিসৌরির আদালত। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে— মৃত্যুদণ্ড প্রত্যক্ষ করার মতো পর্যাপ্ত বয়স তার হয়নি।
মিসৌরিতে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় ইচ্ছে করলে পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকতে পারেন। তবে এজন্য বয়স নূন্যতম ২১ বছর হতে হবে। যেহেতু খোরির বয়স ১৯ বছর, তাই তাকে এ সুযোগ দেওয়া হবে না।
বিজ্ঞাপন
খোরির বয়স যখন মাত্র দুই বছর ছিল তখনই কেভিনকে জেলে নেওয়া হয়। ফলে ছোট বেলা বাবাকে ছাড়া বড় হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু বড় হওয়ার পর বাবাকে ফোন, চিঠি এবং ই-মেইল পাঠানো শুরু করেন তিনি। এমনকি গত মাসে নিজের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে জেলের ভেতর সময় কাটিয়ে এসেছিলেন খোরি।
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাবার অন্তিম মুহূর্তে পাশে না থাকতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন খোরি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত ব্যথিত কারণ বাবার শেষ মুহূর্তে তার পাশে থাকতে পারব না।’ খোরি বিবৃতিতে আরও জানান, জেলে থাকাকালীন সময়ে তার বাবা নিজেকে শুধরে নেওয়ার সব চেষ্টা করেছেন। এখন তার আশা মিসৌরির গভর্নর তার বাবাকে ক্ষমা করে দেবেন।
জনসন ২০০৫ সালে পুলিশ কর্মকর্তা উইলিয়াম ম্যাকান্তিকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই সময় উইলিয়াম তিন সন্তানের বাবা ছিলেন। জনসনের আইনজীবীরা তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি মওকুফের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এই মামলায় জনসনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্ণবাদ বড় প্রভাব রেখেছে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই