খেলার এত শখ ছিল যে, পাঁচ বছরের মেয়েটা ফুটবল নিয়ে রাতে ঘুমাতে যেত। পাড়ায় মেয়েদের খেলার মাঠ ছিল না বলে খেলোয়াড় হয়ে ওঠা হয়নি। মেয়েটির নাম বিপাশা বৈষ্ণব। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে বিপাশা বৈষ্ণবের জাগলিং দেখা গেছে কাতার বিশ্বকাপের প্রোমোতে।

বিপাশা বলছেন, আমার যখন ৫-৬ বছর বয়স তখন আমি বান্ধবীদের সাথে যেতাম মাঠে খেলা করতে, পাশেই ছেলেরা ফুটবল খেলতো। তাদের দেখে আমারও খেলার ইচ্ছা হয়। তারপর আমি বাবাকে বলি ফুটবল খেলতে চাই। বাবা-মা দুজনই প্রথম প্রথম মানা করে।

তবে মেয়ের জেদের কাছে একসময় হার মানেন বাবা-মা। প্রথম তাকে কিনে দেওয়া হয় একটি প্লাস্টিকের বল। সেটা দিয়ে বাসাতেই নিজের মতো করে খেলা শুরু করে বিপাশা।

বিপাশা একসময় নিজে নিজেই জাগলিং শিখে যায়। না জেনে শিখে ফেলা সে জাগলিং একদিন নজর কাড়ে স্থানীয় এক কোচের। মেয়েটিকে ভর্তি করে নেন তিনি। ধীরে ধীরে মেয়েটির জাগলিং মাতিয়ে দিয়েছিল সবাইকে। সেই জাদুর জন্যই ফিফা বিশ্বকাপে নাম উঠে যায় মেয়েটির। 

ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে একটি প্রোমো বানায় তাতে নীল-সাদা ডোরাকাটা জার্সি পরে মেয়েটিকে জাগলিং করতে দেখা যায়। ফিফার অফিশিয়াল চ্যানেল ‘ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট শো ইন দ্য সিটি অব জয়-কলকাতা’ নামে একটি প্রোমোশনাল ফিল্ম বানিয়েছে। তাতে বল মাথায়-পায়ে নিয়ে জাগলিং করতে দেখা যায় বিপাশাকে। 

জাগলিং প্রশিক্ষক সুব্রত রায় বলছেন, প্রায় ১০ বছর আমি জাগলিং ট্রেনিং দিচ্ছি। বিপাশার বয়স যখন ৫ থেকে ৬ বছর তখন থেকে আমি তাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আজি সত্যিই গর্বিত আমি যে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ওর প্রমোটা দেখানো হয়েছে। এটা ভীষণ বড় পাওয়া আমাদের। 

এনএফ