আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। যে কোনও সময় বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ভারতের উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠ শহরের দৃশ্য এটি।

নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, একের পর এক সড়ক ও বাসাবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তাতেই দেশটির ধর্মনগরী যোশিমঠে ক্রমশ বাড়ছে সঙ্কট। শহরের রবিগ্রাম, গান্ধিনগর ও সুনীল ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা দিয়েছে।

যোশিমঠের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে গুরুতর হয়ে উঠছে। শহরটির শঙ্করাচার্য মঠের অনেক জায়গায়ও ফাটল দেখা গেছে। শঙ্করাচার্য মঠ কর্তৃপক্ষের মতে, গত ১৫ দিনে ফাটল আরও বৃৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্ব প্রিয়ানন্দ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ১৫ দিন আগে শঙ্করাচার্য মঠে কোনও ফাটল ছিল না। কিন্তু গত কয়েক দিনে ফাটল ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন এখন ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং টানেল তৈরির উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের শহরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

এদিকে, ভূমিধস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৬টি পরিবারকে যোশিমঠ থেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিরাপদ ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। ভারতের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের মতে, জোশিমঠে ক্রমাগত ভূমিধসের কারণে প্রায় ৬০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ওই এলাকায় বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।

প্রাচীন হিমবাহের ওপর অবস্থিত ভারতের উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠ শহর। সেখানকার ৪ হাজার ৬৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ৬০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

এমজে