অ্যালেইনা ওলমেজ, ছবি : এনবিসি

ভূমিকম্পের ১০ দিনেরও বেশি সময় পেরোনোর পর তুরস্ক থেকে অ্যালেইনা ওলমেজ নামের ১৭ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তুরস্কের কাহরামানমারাশ শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

অ্যালেইনাকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য আলি আকদোগান এএফপিকে বলেন, ‘মেয়েটি তুলনামূলকভাবে সুস্থ আছে, তবে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। গত এক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় কাজ করছি আমরা। প্রতিনিয়ত কান পেতে রাখছি— ধ্বংসস্তুপ থেকে কোনো আওয়াজ আসে কিনা বোঝার জন্য।’

আলি আকদোগান পেশায় একজন খনিশ্রমিক। তবে ভূমিকম্পের পর সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

অ্যালেইনাকে উদ্ধারের ভিডিওচিত্র ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা গেছে, ধ্বংস্তূপ থেকে অ্যালেইনাকে উদ্ধারের পর আনন্দে উদ্ধারকর্মীদের জড়িয়ে ধরেছেন তার চাচা।

গতকাল বুধবারও তুরস্কের কাহরামানমারাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মেরিক ইমামোগলু নামের এক নারীকে।

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

ভূমিকম্পের পর গত ১০ দিনে সিরিয়া-তুরস্ক থেকে প্রায় ৪০ হাজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দু’দেশে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় লাখ।

এসএমডব্লিউ