রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বাখমুতের পাশে অবস্থিত বারখিভকা গ্রাম দখল করেছে তার সেনারা।

গত কয়েক মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে দোনেৎস্কের বাখমুত ঘিরেই মূল লড়াই হচ্ছে।

বারখিভকা গ্রাম দখলের ব্যাপারে শুক্রবার (২৪ ফেব্র্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে প্রিগোজিন বলেছেন, ‘বারখিভকা পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ তবে তার এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রথম হামলা চালায় রাশিয়া। যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভ দখল করতে চেয়েছিলেন রুশ সেনারা। কিন্তু ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

এরপর রুশ বাহিনী তাদের নজর দেয় ডনবাসের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে। বর্তমানে দোনেৎস্কের বাখমুতে সবচেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি গত এক মাসের মধ্যে কয়েকবার বলেছেন, বাখমুতের ‘পরিস্থিতি কঠিন।’ তবে তিনি সঙ্গে এও দাবি করেছেন, তাদের হামলায় রুশ বাহিনীর অসংখ্য সেনা হতাহত হচ্ছে।

বাখমুতে রাশিয়ার মূল সেনাবাহিনীর বদলে লড়াই করছে মূলত ওয়াগনার সেনারাই। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাখমুতে কিছু সাফল্য পেয়েছে ওয়াগনার। তারা এখন সেখানে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক চার্লস স্টার্টফোর্ড শুক্রবার জানিয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন বাখমুতের দক্ষিণ দিকের কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে রুশ সমর্থিত বাহিনী। এছাড়া পশ্চিমভাগের কিছু অংশ থেকেও পিছু হটেছে ইউক্রেনের সেনারা।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বাখমুতে যুদ্ধের তীব্রতা এতই বেশি যে এ শহরের লড়াই নিয়ে ইতোমধ্যেই দুই দেশের এক হাজারের অধিক সেনা নিহত হয়েছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই