পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে বলে রায় দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার (১ মার্চ) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের নেতৃত্বে দেশটির শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৩-২ ব্যবধানে বিভক্ত এই রায় দেয়।

এতে করে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দাবিই দেশটির শীর্ষ আদালতে টিকে থাকল। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় প্রাদেশিক পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) হাতে। তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি জোরদার করতে প্রাদেশিক গভর্নরদেরকে ওই দু’টি অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিতে বলেন ইমরান।

আল জাজিরা বলছে, পাকিস্তান ঐতিহ্যগতভাবে প্রাদেশিক ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করে থাকে। আর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন চলতি বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর তার আগেই আগাম নির্বাচনের দাবি জোরালো করতে জানুয়ারিতে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেন ইমরান খান।

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে নির্বাচন হতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি একতরফাভাবে ৯ এপ্রিলকে দু’টি প্রদেশে নির্বাচনের তারিখ হিসাবে ঘোষণা করেন। আলভির এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে। কারণ প্রেসিডেন্টের এককভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার এখতিয়ার আছে কিনা সেটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দিহান ছিলেন।

তবে শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নির্বাচনের বিষয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।

টিএম