ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ওই নারী বাংলাদেশ থেকে ভারতে ২ কেজি ওজনের ২৭টি সোনার বার পাচারের চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে। ওই সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশি নারীর কাছ থেকে জব্দকৃত সোনার বারগুলোর দাম ১ কোটি ২৯ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশের অর্থের তুলনায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার সমান।

দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যের এ সোনার বারগুলো মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকার বিনিময়ে পাচার করার চেষ্টা করেছেন ওই নারী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আটককৃত নারীর নাম মণিকা ধর। তার বয়স ৩৪ বছর। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা।

ওই নারী তার কোমরে ও কাপড়ে বেঁধে বিভিন্ন আকারের ২৭টি সোনার বার নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেন। সোনা চোরাচালানের বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকেই বিএসএফের কাছে তথ্য ছিল। ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফের নারী সদস্যরা বাংলাদেশি নারী মণিকার দেহে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে সেগুলো উদ্ধার করেন।

এনডিটিভির খবরে আরও বলা হয়েছে, ওই নারী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি এবারই প্রথমবার সোনা চোরাচালানের মতো ঝুঁকিপূ্র্ণ কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল, সোনাগুলো ভারতে থাকা ব্যক্তির হাতে তুলে দিতে পারলে ২ হাজার রুপি (২ হাজার ৫০০ টাকা) দেওয়া হবে।

ওই নারীকে আটকের পর পেট্রোপোলের কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশি নারীর কাছ থেকে জব্দবকৃত সোনার বার ও পাসপোর্ট

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই