সমরেশের প্রয়াণে স্মৃতিকাতর সাহিত্য সহযাত্রীরা
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণ এখনো মেনে নিতে পারেননি তার সাহিত্য সহযাত্রীরা। লেখকের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত এবং তার সৃষ্টির কথাই বার বার মনে পড়ছে তাদের।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সময় সোমবার (৮ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সমরেশ মজুমদার।
বিজ্ঞাপন
তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের। ‘লোটাকম্বল’-এর লেখক বলেছেন, ‘আমার কাছে এই খবরটা যেন একটা বজ্রাঘাত। কারণ সমরেশের সঙ্গে আমার লেখক জীবনের শুরু থেকেই অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল।’
প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘একমাত্র ও আমাকে সঞ্জু বলে ডাকত। ওর ওই সঞ্জু ডাকটি বড়ই মধুর ছিল। ভাবতেই পারছি না, ওর মতো এত স্বাস্থ্যবান একজন যুবক কী করে এত তাড়াতাড়ি চলে গেল।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন
দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন সমরেশ মজুমদার। এ কথা মেনে নিতে পারছেন না সাহিত্যিক শংকর। তিনি বলেন, ‘লেখক হিসেবে ও জনপ্রিয় হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে চিনতাম। কারণ, স্কটিশ চার্চ কলেজে আমার ভাইয়ের সহপাঠী ছিল সমরেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আমাদের। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখাও হতো। একটাই কথা বলতে চাই, তার মতো মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। ওর চলে যাওয়াটা আমার কাছে ব্যক্তিগত শোক।’
শোকপ্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘সমরেশ চলে যাওয়ার মানে এখন বাংলা সাহিত্যে আর কে রইল? বর্ষীয়ান এ সাহিত্যিক বলেন, ‘লেখক হওয়ার আগে থেকেই আমি সমরেশকে চিনতাম।’
উত্তর কলকাতার বোর্ডিং হাউজে থাকার সময় লেখকের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সমরেশ মজুদার। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং সমরেশ মজুমদার দুজনই উত্তরবঙ্গের মানুষ। শীর্ষেন্দু বলেন, ‘তাই ওর প্রতি আমার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল।’ সমরেশ মজুমদারকে ‘বাবলু’ নামে ডাকতেন শীর্ষেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রবীণ এ সাহিত্যিক বলেন, ‘একসঙ্গে আমরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়েছি। ইদানীং ও আমাকে বলত যে, বাবলু বলে ওকে ডাকার আর কেউ নেই।’
/এসএসএইচ/