পুলিশের উপস্থিতি দেখে গাড়ি থেকে নেমে হাই কোর্ট ভবনে দৌড়ে পালিয়ে অল্পের জন্য গ্রেপ্তার এড়ালেন পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট চত্বরে এই ঘটনা ঘটেছে।

ফাওয়াদ চৌধুরীর গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে আদালতের ভবনে ঢুকে পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত সপ্তাহে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পিটিআইয়ের সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে জনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণ আইনের আওতায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীকেও আটক করা হয়েছিল। পরে ইসলামাবাদের হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

আদালতের কাছে তিনি আর কোনো সহিংস প্রতিবাদে অংশগ্রহণ অথবা উসকানি দেবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দাখিল করার পর মঙ্গলবার বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব আবেদনের শুনানি করেন। পরে পিটিআইয়ের এই নেতাকে মুক্তির আদেশ দেন তিনি। তবে আদালত তার মুক্তির বিষয়ে লিখিত আদেশ জারি করার আগেই হাই কোর্ট থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী পায়জামা আর পাঞ্জাবি পরিহিত সাবেক এই মন্ত্রীর সাথে ওই সময় ব্যাপক নাটকীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। তিনি আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে বাইরে অপেক্ষারত গাড়িতে উঠে বাড়ির দিকে রওয়ানা দেন।

গাড়ি কয়েক গজ এগিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ তার দিকে আসছে বলে ধারণা করেন তিনি। এ সময় পুনরায় গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় গাড়ির দরজা খুলে নেমে দৌড় মেরে আদালতের ভবনে ঢুকে পড়েন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী।

টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী গাড়ি থেকে বেরিয়ে আদালত ভবনের প্রবেশপথের দিকে পড়িমরি করে ছুটছেন। এ সময় আইনজীবীরা সহায়তার জন্য এগিয়ে এলেও তিনি তাদের পাত্তা না দিয়ে ছুটতে থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ফাওয়াদ চৌধুরীর স্ত্রী হিবা বলেন, ‘তারা আবারও তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে।’

পরে পিটিআইয়ের এই নেতা বিচারপতি আওরঙ্গজেবকে জানান যে, আদালত জামিন দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছে। জবাবে বিচারক তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনি নিজে একজন আইনজীবী। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আপনার লিখিত আদেশ জারি পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানের সাবেক এই মন্ত্রীকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে বিচারক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পান তিনি।

এসএস