শিশুদের বিশেষ ক্যান্সার নিরাময়ের উপায় আবিষ্কার
শিশুদের হয় এমন এক ধরনের ভয়ঙ্কর ক্যান্সার নিরাময়ের নতুন উপায় প্রথমবারের মতো উদ্ভাবন করেছেন একদল বিজ্ঞানী। ওই ক্যান্সারের নাম ‘নিউরোব্লাস্টোমা। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে এতে বহু শিশু আক্রান্ত হয়।
ক্যান্সার চিকিৎসার নতুন উপায় উদ্ভাবনকারী গবেষকদের দাবি, এই আবিষ্কার আগামীতে ব্রেন টিউমারসহ শিশুদের আরও কয়েক ধরনের ক্যান্সার এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জরায়ু ও প্রস্টেটের ক্যান্সার চিকিৎসারও পথ খুলে দেবে।
বিজ্ঞাপন
অস্ট্রেলিয়ার চিলড্রেন্স ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক বিষয়টি নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। তাদের গবেষণা নিবন্ধটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার কমিউনিকেশন্স-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা মানবকোষে বিশেষ ধরনের প্রোটিনের হদিস পেয়েছেন। যার নাম অ্যালিরেফ (এএলওয়াইআরইএফ)। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের নিউরোব্লাস্টোমা ক্যান্সারের জন্য মূলত যে জিনটি দায়ী সেই ‘এমওয়াইসিএন’ জিনের সক্রিয়তা দ্রুত বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই প্রোটিনের।
বিজ্ঞাপন
কয়েক বছর আগে এক গবেষণায় জানা গিয়েছিল আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশুর ক্ষেত্রে নিউরোব্লাস্টোমা দুরারোগ্য হয়ে ওঠে। কারণ ওই শিশুদের ক্যান্সার কোষগুলোতে এমওয়াইসিএন জিনের মাত্রা ও সক্রিয়তা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। তবে ওই জিনটিকে লক্ষ্য করে কোনো ওষুধ তৈরি করা খুবই মুশকিল।
তাই বিজ্ঞানীরা এত দিন শিশুদের ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষে এমওয়াইসিএন জিনের কারা সহযোগী তাদের খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। যাতে সেই সহযোগীদের অন্তত ওষুধ দিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া সম্ভব হয়।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের নিউরোব্লাস্টোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলোতে এমওয়াইসিএন জিনের মাত্রা ও সক্রিয়তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা নেয় অ্যালিরেফ প্রোটিনটি।
দুই মূল গবেষক অধ্যাপক সুজসি ন্যাগি এবং বেলামি চিউঙ্গ এ প্রসঙ্গে বলছেন, তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির কারণে ‘এই (অ্যালিরেফ) প্রোটিনটিকে বেঁধে ফেলা বা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার লক্ষ্যে এখন ওষুধ বানানো সম্ভব হবে।’
এএস