রাশিয়া গত বছর ইউক্রেনে হামলা করার কয়েক মাস পরই সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন।

তবে এ দুটি দেশের সদস্যপদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক। যদিও অনেক দেনদরবারের পর এ বছরের মার্চে ফিনল্যান্ডের সদস্যপদের অনুমোদন দেয় দেশটি। এরপরই সুইডেনও দ্রুত সময়ে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। বিশেষ করে আগামী জুলাইয়ে হতে যাওয়া ন্যাটোর বার্ষিক সম্মেলনের আগে জোটটিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে সুইডেন।

তবে এক্ষেত্রে মন গলেনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের। তিনি জানিয়েছেন, এখনো কুর্দি জঙ্গিদের মদদ ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সুইডেন।

বার্ষিক সম্মেলনের আগে সুইডেনের সদস্যপদের অনুমোদন দেবেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ যখন সুইডেনের সদস্যপদের জন্য কথা বলছেন তখন কুর্দি জঙ্গিরা স্টকহামের রাস্তায় আন্দোলন করছে।

এ ব্যাপারে বুধবার (১৪ জুন) এরদোয়ান বলেছেন, ‘যখন স্টলটেনবার্গ আমাদের সঙ্গে এসব বলছেন, দুর্ভাগ্যবশত, এই সময়, জঙ্গিরা সুইডেনের রাস্তায় আন্দোলন করছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন আমরা এই কাজে আলোচনার টেবিলে ইতিবাচকভাবে যেতে পারব না।’

গত মাসে স্টকহামে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ব্যানারে তুরস্ক বিরোধী বিক্ষোভ হয়। এ বিষয়টিতেও বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছে আঙ্কারা।

তুরস্কের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে যুদ্ধ করে আসা পিকেকে-কে জঙ্গি দল হিসেবে অভিহিত করে তু্রস্ক। আর এই সন্ত্রাসী দলের অনেক নেতা ও সমর্থককে আশ্রয় দিয়েছে সুইডেন।

তুরস্কের দাবি, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে হলে পিকেকে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং যেসব সন্ত্রাসী সুইডেনে আছে তাদের ফেরত পাঠাতে হবে।

তুরস্কের এ দাবি মেনে অবশ্য নিজেদের সংবিধানে পরিবর্তন এনেছে সুইডেন। তবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তাদের যে কথা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো পূরণে খুব বেশি কিছু করেনি দেশটি।

সূত্র: মিডেল ইস্ট আই

এমটিআই