রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক কোম্পানি এবং ইউক্রেনে সামরিক অভিযানরত রুশ বাহিনীর সাবেক প্রধান সহযোগী পিএমসি ওয়াগনারের বিদ্রোহের ঘোষণা ও রাজধানী মস্কোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা পাওয়ার পর মস্কো ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এবং নগর প্রশাসন।

মস্কোর মেয়র সেগেয়ই সোবিয়ামিন শনিবার এক টেলিগ্রামবার্তায় বলেন, ‘ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মস্কোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সড়কগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।’

মস্কোর বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া এবং যাবতীয় উদযাপন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে টুইটবার্তায় সোবিয়ামিন বলেন, ‘আমরা এখন এক বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। মস্কোবাসীর প্রতি অনুরোধ— প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং জনসমাগম ও যাবতীয় উদযাপন থেকে বিরত থাকবেন।’

শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনে যুদ্ধরত পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার রুশ বাহিনী ও মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন। নিজের মুখপাত্রের মাধ্যমে এক অডিওবার্তায় তিনি অভিযোগ করেন— ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলাচ্ছে এবং এসব হামলায় ইতোমধ্যে পিএমসি ওয়াগনারের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

অডিও বার্তায় মস্কোর নেতৃত্বকে উৎখাত করার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেন থেকে মস্কোর উদ্দেশে রওনা হয়েছি। এটা কোনো সশস্ত্র বিদ্রোহ নয়, বরং ন্যায় বিচারের জন্য পদযাত্রা। আমাদের যাত্রাপথে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা আসে, সেক্ষেত্রে আমরা তাকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব এবং এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা ধ্বংস করব।’

বিবিসি’র তথ্য অনুসারে, ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মস্কোর অভিমুখে তাদের এই অগ্রযাত্রার কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি, তবে শনিবার পৃথক এক অডিওবার্তায় পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছেন ওয়ানগনার যোদ্ধারা।

এসএমডব্লিউ