ধুমধাম করে বিয়ে করলেন ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত জুটি
মানবজন্মের জটিল প্রক্রিয়ায় ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে কারও কারও ২১তম ক্রোমোজোমে দু’টির বদলে তিনটি ক্রোমোজোম থাকে। আর সামান্য এ ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সারাটা জীবন হয়ে যায় অন্যদের চেয়ে আলাদা।
ডাউন সিনড্রোম ‘অভিশাপ’ নিয়ে বড় হতে হয় তাদের। শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিজনিত কিছু সমস্যা সঙ্গী হয় তাদের।
বিজ্ঞাপন
তবে জীবন কোনোভাবেই থেমে যাওয়ার নয়। ভারতের বিঘ্নেশ কৃষ্ণস্বামী এবং অনন্যা সওয়ান্ত সকলের চোখে আঙুল দিয়ে আবারও জানান দিলেন সে কথা।
বিঘ্নেশ-অনন্যা দুজনই ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত। কিন্তু তারা থেমে যাননি। ২৭ বছর বিঘ্নেশ দুবাইয়ে যুক্ত রয়েছেন হসপিট্যালিটি শিল্পের সঙ্গে। আর ২২ বছর বয়সি অনন্যা একজন স্কুলশিক্ষিকা।
বিজ্ঞাপন
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি একে অন্যের হাতে হাত রেখেছেন বিঘ্নেশ-অনন্যা, করেছেন বিয়ে, প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সামনের পথ একসঙ্গে চলার।
বিঘ্নেশ আছেন দুবাইয়ে, আর অনন্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এখন বিয়ের পর বিঘ্নেশের সঙ্গে দুবাইয়ে থাকবেন অনন্যা।
বিঘ্নেশের বাবা বিশ্বনাথন বলেছেন, আমার ছেলের বয়স ২৭ এবং ওর সমবয়সী সব বন্ধুদের বিয়ে হতে দেখে ওরও বিয়ে করার ইচ্ছে হয়। ও আমাদের নিজের ইচ্ছের কথা খুলে জানায়।
এরপর বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন বিঘ্নেশের বোন জননী বিশ্বনাথন। জননী লন্ডনে অনন্যার বোন অশনি সাওয়ান্তের সঙ্গে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এরপর তিন দিন ধরে গান-বাজনা-নাচের মধ্যে দিয়ে বিয়ের মেহন্দি, সঙ্গীত ও বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ হয়।
অনন্যার মা বলেন, আমেরিকাতেও এই ধরনের বিয়ে খুব বেশি হয় না। বিশেষ চাহিদাযুক্তদের জন্য ডেটিং অ্যাপ পরিষেবা রয়েছে, তবে সেগুলোও খুব সীমিত। বিশেষ চাহিদাযুক্ত তরুণ-তরুণীদের খুব বেশি অবহেলার নজরে দেখা হয় সেখানেও।
এনএফ