চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ
ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযান শুরু করল ভারত
চন্দ্রযান ৩
বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে নভোযান পাঠাল ভারত। শুক্রবার স্থানীয় সময় ২ টা ৩৫ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রের শ্রীহরিকোটা শহরের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ভারতের নিজস্ব রকেট চন্দ্রযান ৩।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করেছে চন্দ্রযান ৩।
বিজ্ঞাপন
চাঁদের মাটি স্পর্শ করার এই অভিযাত্রায় মোট ৪০ দিন সময় নেবে চন্দ্রযান ৩। ইসরো জানিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগমী ২৩ থেকে ২৪ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করবে ভারতীয় এই নভোযান।
চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জানিয়েছেন, যদি কোনো কারণে প্রত্যাশিত সময়ে নভোযানটি চাঁদে পৌঁছাতে নাও পারে, সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে চাঁদে নামতে সক্ষম হবে চন্দ্রযান ৩।
বিজ্ঞাপন
— All India Radio News (@airnewsalerts) July 14, 2023
এর আগে মাত্র ৩ টি দেশ চাঁদে নভোযান পাঠাতে পেরেছে— যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন। এবার সংক্ষিপ্ত এই তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের নামও।
তবে চতুর্থ দেশ হলেও ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এই অভিযান সফল হলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি রোবটযান নামাতে সক্ষম হবে দেশটি। চাঁদের ওই অংশ এখনও খুব কমই জানে মানুষ।
শুক্রবার দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান ৩ যখন যাত্রা শুরু করে, ঐতিহাসিক সেই মুহূর্তের সাক্ষী হতে ভারতের শতকোটি মানুষের চোখ ছিল টেলিভিশন আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগ্রহ নিয়ে নজর রেখেছে বিশ্বের অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ও বিজ্ঞানীরাও।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ শুক্রবার উৎক্ষেপণস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের এই মহাকাশযান তৈরি হয়েছে অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার- এই তিনটি অংশ নিয়ে। অরবিটারের নাম ‘চন্দ্রযান’, ল্যান্ডারের নাম 'বিক্রম' এবং রোভারের নাম 'প্রজ্ঞান'।
প্রসঙ্গত, ভারতের এই চাঁদের মাটি স্পর্শ করার অভিযান শুরু হয় ২০০৮ সালে। যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে প্রথম সেই অভিযান সফল হয়নি। পরে ২০১৯ সালে ফের আরও একবার চাঁদে নভোযান পাঠানোর উদ্যোগ নেয় দেশটি।
কিন্তু সেবার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে চাঁদে নামাতে ব্যর্থ হয়েছিল অরবিটার ‘চন্দ্রযান ২’। পুরোনো সেই অরবিটারটি এখনও চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছে।
এসএমডব্লিউ