‘ভারতে আসা পাকিস্তানি গৃহবধূকে দেশে না ফেরালে ফের একটা ২৬/‌১১ দেখতে হবে।’ ফোনে মুম্বাই পুলিশের কাছে এল এমনই এক হুমকি। বুধবার (১২ জুলাই) রাতে ফোন করে উর্দু ভাষায় এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেদিন রাতে পুলিশের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে ফোন করেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। 

ওই ব্যক্তি উর্দু ভাষায় হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সীমাকে পাকিস্তানে ফেরত না পাঠালে মুম্বাইয়ে আবার জঙ্গি হামলা হবে। আরও একটা ২৬/১১ দেখতে হবে। ধ্বংসের মুখে পড়বে ভারত। উত্তরপ্রদেশ সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।’ এ হুমকি দিয়েই ফোন কেটে দেন ওই ব্যক্তি। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। 

এ প্রসঙ্গে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি তরুণ প্রেমিকের টানে পাকিস্তান থেকে লুকিয়ে ভারতে চলে আসা পাকিস্থানী গৃহবধূ সীমা। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মরে গেলেও পাকিস্তান ফিরে যাবেন না। তার আশঙ্কা, দেশে ফিরলেই তাকে খুন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাবজি খেলার সূত্রে নয়ডার ২২ বছরের তরুণ শচীন মীনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দারের। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সৌদিতে থাকতেন সীমার রাজমিস্ত্রি স্বামী। তাই সন্তানদের নিয়ে একাই থাকতেন সীমা। অবশেষে অনেক পরিকল্পনা করে তিন বছরের প্রেমের পর চার সন্তানের হাত ধরে পাকিস্তান ছেড়ে তরুণ প্রেমিকের জন্য ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সীমা। 

নেপাল হয়ে গোপনে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। বেশ কয়েক দিনের লুকোচুরির পর গত ৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পেশায় মুদি দোকানের কর্মী প্রেমিক শচীনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সীমার সন্তানেরাও তার সঙ্গে জেল হেফাজতে ছিল। তবে গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন দু’জনই। 

ইতোমধ্যে নিজেকে ভারতীয় বলেও দাবি করে বসেছেন সীমা। সীমা জানিয়েছেন, প্রেমিকের সঙ্গে ভারতে নতুন করে সংসার পাততে চান তিনি। যদিও তার সন্তানরা চাইলে পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন। 

সীমার দাবি, তার পাকিস্তানি স্বামী গোলাম প্রায়ই অত্যাচার করতেন। অন্যদিকে, ভিডিও বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে স্ত্রী এবং সন্তানদের ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সীমার স্বামী গোলাম। আর এরই মধ্যে মুম্বাই পুলিশের কাছে এলো হুমকি!

কেএ