এ বছরের শুরুতে ভারতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে আদানি ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জোর আওয়াজ তুলেছিল কংগ্রেসসহ ১৯টি বিরোধী দল। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হতে যাচ্ছে ২৬। 

মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ২৬ দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র লড়াইয়ের প্রথম পর্যায়টি তাই শুরু হতে যাচ্ছে আজকের সংসদেই।

এছাড়া অশান্ত মণিপুর প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদির নীরবতা ভেঙে মুখ খোলার দাবিতে একযোগে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিরোধীরা।  

অধিবেশনের প্রথম দিনেই সরকার দিল্লি অর্ডিন্যান্স পেশ করতে যাচ্ছে। বস্তুত এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করা নিয়েই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের আগে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে কংগ্রেস ঘোষণা করে তারা সংসদের দুই কক্ষেই ওই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবে। আম আদমি পার্টিও শেষে বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেয়। ফলে বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু থেকেই ওই অর্ডিন্যান্স নিয়ে উত্তাল হতে পারে। 

ওই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারের সেক্রেটারিয়েট সার্ভিসের অফিসারদের বদলি, পদোন্নতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেবে। রাজ্য সরকার কোনো অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারবে না। এই অর্ডিন্যান্স আইনে পরিণত হলে দিল্লির রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের কার্যত অফিসারদের কথায় চলতে হবে। কারণ, অফিসারদের কাজ অপছন্দ হলেও মন্ত্রীদের হাতে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ক্ষমতা থাকবে না। সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানাতে হবে। আপ সরকারের মতে, এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে দিল্লিতে কার্যত কেন্দ্রীয় শাসন কায়েম হয়েছে। 

এনএফ