যুক্তরাজ্যের ইসলামি বক্তা আনজেম চৌধুরী

যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ইসলামি বক্তা আনজেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। সোমবার রাজধানী লন্ডনে এই মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ব্রিটেনে নিষিদ্ধ ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপন সংশ্লিষ্টতা, সন্ত্রাসীগোষ্ঠী পরিচালনা এবং ক্রমশ ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তাত্ত্বিক গুরু হয়ে ওঠার অভিযোগে গত সপ্তাহে রাজধানী থেকে আনজেম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছিল ব্রিটিশ পুলিশের সদর দপ্তর লন্ডন শাখা।

সোমবার এক বিবৃতিতে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, যে ৩ অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেসবের সত্যতা মিলেছে। তার ভিত্তিতেই মামলা করা হয়েছে আনজেমের বিরুদ্ধে। সোমবারই তাকে আদালতে তোলা হবে।

৫৬ বছর বয়সী আনজেম চৌধুরি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ইসলামি বক্তা। দেশটির অন্যান্য ইসলামি বক্তাদের তুলনায় তার ভক্ত-অনুগামীর সংখ্যা অনেক বেশি।

আনজেম নিজে এক সময় আল মুহাজিরুন নামের একটি ইসলামি নেটওয়ার্ক চালাতেন। কিন্তু এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ ওঠায় আল মুহাজিরুনকে নিষিদ্ধ করে ব্রিটেনের সরকার।

২০০১ সালে প্রথম ব্রিটেনের লোকজনের মনোযোগ আকর্ষণে সফল হন আনজেম চৌধুরী, ওই বছর ১১ সেপ্টেম্বর বিমান হামলা চালিয়ে নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টুইন টাওয়ার ধসিয়ে দিয়েছিল সৌদিভিত্তিক জঙ্গি নেটওয়ার্ক আল কায়েদা। আনজেম সেই হামলাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তিনি এবং তার অনুসারীরা বাকিংহাম প্যালেসকে মসজিদে রূপান্তর করতে চান।

তারপর ২০১৬ সালে সিরিয়া ও ইরাকভিত্তিক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কর্মকাণ্ডকে সমর্থন বক্তব্য দেওয়ায় গ্রেপ্তার হন আনজেম। এই অপরাধে ব্রিটেনের একটি আদালত তাকে ৫ বছর কারাবাসের সাজাও দিয়েছিল। পরে বিশেষ ক্ষমার আওতায় ২০১৮ সালে মুক্তি পান তিনি।

লন্ডন পুলিশের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আনজেম গোপনে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী আল মুহাজিরুনের সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনা করতেন। যেদিন লন্ডন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই একই দিন যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে খালেদ হোসাইন নামের এক কানাডীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ স্বীকার করেছেন, তিনি আল মুহাজিরুনের সদস্য এবং আনজেমের সঙ্গে দেখা করার জন্যই কানাডা থেকে লন্ডনে এসেছেন।

আল মুহাজিরুনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

এসএমডব্লিউ