প্রথম সন্তান গর্ভে আসার মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করেছেন রেবেকা রবার্টস (৩৯) নামের এক নারী। যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ার জেলার ট্রোব্রিজ শহরে ঘটেছে এই বিরল ঘটনা।

গত সেপ্টেম্বর মাসেই জন্ম নিয়েছে রেবেকার দুই সন্তান নোয়া ও রোজালি। পুত্র নোয়া জন্মের পরে সুস্থ থাকলেও কন্যা রোজালি আকারে বেশ ছোট ছিল। তাকে অন্য হাসপাতালে রেখে ৯৫ দিন ধরে চিকিৎসা করা হয়। দু’জনের মধ্যে তিন সপ্তাহের ফারাক থাকলেও ডাক্তারদের মতে, দুই ভাইবোন যমজই।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে রেবেকা বলেন , ‘আমি প্রথমে যে দু’টি স্ক্যান করিয়েছিলাম তাতে নোয়াকেই দেখা গিয়েছিল। তারপর ফের স্ক্যান করানোর সময় সোনোগ্রাফার অবাক হয়ে যান। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, এমন কিছু একটা হয়েছে যেটা তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না। এরপর তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি যমজ সন্তানের মা হতে চলেছি। শুনেই আমার বুক ধড়ফড় শুরু হয়ে যায়।”

কিন্তু কী করে এমন ঘটল— প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটেনের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা বিরল হলেও একেবারে অস্বাভাবিক নয়। এই পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘সুপারফিটেশন’। এক্ষেত্রে কোনো নারী গর্ভধারণ করার পরও তার শরীরে ফের একটি ডিম্বাণু মুক্ত হয়। যা নিষিক্ত হলে তিনি আবারও গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সারা বিশ্বে ০.৩ শতাংশ মহিলার এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় শিশুটি বাঁচে না।

তবে রেবেকা সৌভাগ্যবতী। তার দুই সন্তানই বেঁচে আছে এবং সুস্থ আছে।

দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে এখন বেজায় খুশি রেবেকা। তবে তাদের জন্ম দেওয়ার আগে যে তিনি খুবই টেনশনে ভুগছিলেন তাও জানিয়েছেন তিনি। অবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে তাদের বড় করার স্বপ্নে বিভোর আছেন তিনি ও তার স্বামী রাইস ওয়েভার (৪৩)।

ট্রোব্রিজে শিশুদের পোষাক তৈরির একটি কারখানা চালান এই দম্পতি। নোয়া এবং রোজালি ছাড়াও সামার(১৪) নামে এক মেয়ে রয়েছে তাদের।

এসএমডব্লিউ