যুক্তরাষ্ট্রে দেড় কোটি ডোজ করোনা টিকা নষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রে টিকা উৎপাদনকারী বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের তৈরি প্রায় দেড় কোটি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট হয়ে গেছে। কারখানার ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। করোনার টিকা উৎপাদনে গতিশীলতা আনতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া জনসন এন্ড জনসনের জন্য এটি বড় এক ধাক্কা।
এ বিষয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল জগতের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান জনসন এন্ড জনসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার্তাসংস্থা এএফপি। প্রতিষ্ঠানটি তাদের জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশন পরিচালিত একটি কারখানায় উৎপাদিত করোনা টিকাগুলো রাখা ছিল। পরে তারা বুঝতে পারে, যথাযথ মান নিশ্চিত করে সেসব টিকা সংরক্ষণ করা হয়নি। যে কারণে টিকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
তবে ঠিক কী পরিমাণ টিকা নষ্ট হয়ে গেছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নিজেদের উৎপাদিত টিকায় যথাযথ মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।
বিজ্ঞাপন
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, একটি কারখানার ভুলে জনসন এন্ড জনসনের টিকা নষ্ট হওয়ার পর এই কোম্পানির তৈরি অন্য টিকার মানের ব্যাপারেও ভবিষ্যতে প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) এ বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এএফডিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটি এ বিষয়ে অবগত বলে এএফপিকে জানানো হয়। তবে টিকা নষ্টের বিষয়ে এর বেশি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি।
জনসন এন্ড জনসন জানিয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনে প্রযোজনীয় তত্ত্বাবধান, দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সার্বিক সহায়তা দিতে সাইটগুলোতে আরও বেশিসংখ্যক বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে তারা। এর ফলে এপ্রিল মাসে আরও ২ কোটি ৪০ লাখ টিকা সরবরাহ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
এএফপি জানিয়েছে, জনসন এন্ড জনসনের করোনা টিকা উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বাল্টিমোরের ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশনের কারখানাটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়নি। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, অনুমোদন না থাকলেও কারখানাটিতে নিকট ভবিষ্যতে কোটি কোটি ডোজ করোনা টিকা উৎপাদনের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসন এন্ড জনসনের একটি ডোজই যথেষ্ট। মডার্না ও ফাইজারের টিকার মতো এটি ঠান্ডা বা হিমায়িত স্থানে সংরক্ষণেরও প্রয়োজন পড়ে না।
জনসন এন্ড জনসন বলছে, ‘২০২১ সালের শেষ নাগাদ আমরা ১০০ কোটি ডোজ করোনা টিকা সরবরাহ করতে পারব।’
সূত্র: এএফপি
টিএম/জেএস