প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে পাকিস্তান গেছেন ভারতীয় নারী অঞ্জু। জানা গেছে ফেসবুক বন্ধু নাসরুল্লাহকে বিয়েও করেছেন। আপাতত তার সঙ্গেই সেদেশের খাইবার পাখতুনখোয়ায় বসবাস করছেন। এরমধ্যেই ভারতীয় নারী অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে পাকিস্তা সরকার।

আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত তার ভিসার মেয়াদ ছিল। আপাতত তা আরও দু’মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে নাসরুল্লাহ নিজেই। এদিকে স্ত্রীর এমন কাজের জন্য চাকরি হারালেন তার স্বামী।

আরও পড়ুন>> প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ছেড়ে পাকিস্তানে গেলেন ভারতীয় নারী

নাসরুল্লাহ আরও বলেছিলেন যে তিনি চান ভারত সরকার অঞ্জুর দুই সন্তানকে পাকিস্তানে গিয়ে মায়ের কাছে থাকার অনুমতি দিক। কারণ, বাচ্চাগুলোর বয়স এখনও ১৫ পেরোয়নি।

তবে ভারত সরকার এই আবেদনে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। কিন্তু সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে অঞ্জু কি আর ভারতে ফিরবেন? সেই প্রশ্নের জবাবে নাসরুল্লাহ বলেন, ‘সেটা আর সম্ভব না। কারণ অঞ্জু ভারতে ফিরে গেলে তার সঙ্গে কী কী করা হবে, সেটা কল্পনারও অতীত। ফতেমা (অঞ্জুর নতুন নাম) এখন এখানেই সমস্ত স্থানীয় প্রথা মেনে জীবনযাপন করবে।

আরও পড়ুন>>> প্রেমের টানে ৪ সন্তানসহ ভারতে পাকিস্তানি নারী, শেষে গ্রেপ্তার

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় চলে গেছেন অঞ্জু। রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় স্বামী অরবিন্দ ও দুই সন্তানকে রেখেই সেখানে চলে গিয়েছেন অঞ্জু। জানা গেছে, ২০১৯ সালে দু’জনের প্রথম আলাপ হয়েছিল ফেসবুকে। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে অঞ্জু নিজের বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে জানা যায়, তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ওই ফেসবুক বন্ধুকে বিয়ে করেছেন। ধর্মান্তরের পর তার নতুন নাম হয়েছে ফতেমা।

এদিকে ফতেমা ওরফে অঞ্জুর এরকম কর্মকাণ্ডের জন্য কার্যত একঘরে হতে হয়েছে তার পরিবারকে। কাজ হারিয়েছেন অঞ্জুর ভাই ও স্বামী। দোকান চলছে না বাবারও। সূত্রের খবর, অঞ্জুর বাবা গয়াপ্রসাদ থমাস গোয়ালিয়রের বউনা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি দর্জি। অঞ্জু নিজের সংসার ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার দোকানে খদ্দের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অবস্থা এতটাই করুণ যে, দোকান প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে।

অন্যদিকে দু’টি আলাদা বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তার ভাই ডেভিড থমাস এবং স্বামী অরবিন্দ মীনা। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই ডেভিডকে কর্মক্ষেত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর অরবিন্দকে আপাতত অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী এইসময় অফিস থেকে তাকে বেতন দেওয়া হবে কি না, জানানো হয়নি সে কথাও। সবমিলিয়ে অঞ্জুর জন্য বেশ সমস্যায় পড়েছে তার পরিবার।

এসএম