তোশাখানা মামলা
ইমরান খান কী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন?
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দুর্নীতির মামলায় আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের রায় ঘোষণার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইমরান খানকে সক্রিয় রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করেছে আদালত।
দেশটির রাজধানীর জেলা ও দায়রা আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় উপহার তছরুপের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেছে। যদিও শুরু থেকে ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহার সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিদেশ সফরের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাওয়া এসব উপহার সামগ্রীর মূল্য ১৪০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বেশি।
মামলার গ্রহণযোগ্যতা বাতিল চেয়ে ইমরান খানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে শনিবার ইসলামাবাদের অতিরিক্ত ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
রায়ে বিচারক বলেছেন, ‘পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সম্পদের ভুল ঘোষণার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’ এরপর তিনি খানকে এক লাখ রুপি জরিমানাসহ তিন বছরের কারাদণ্ড দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেন।
ইমরান খানের আইনজীবীরা বলেছেন, তারা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই আপিল করবেন। দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা শেষ হতে পারে।
দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তোশাখানা মামলার সব অভিযোগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টসহ বিভিন্ন ফোরামে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন।
এর আগে শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তর করার জন্য ইমরান খানের করা আবেদন খারিজ করে বিচারক দিলাওয়ারকে মামলার শুনানি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এসএস