২০ বছর পর মণিপুরে হিন্দি সিনেমা দেখার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ
দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে মণিপুরে (প্রতীকী ছবি)
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সহিংসতা চলছে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। ইন্টারনেট বন্ধ রাখাসহ নানা ধরনের পদক্ষেপের পরও রাজ্যটিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী স্থিতিশীলতা আসেনি। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরে প্রদর্শিত হতে চলেছে হিন্দি সিনেমা।
আর এর মাধ্যমে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো রাজ্যটিতে হিন্দি সিনেমা ফিরে আসতে চলেছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভারতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে এবং এই দিনেই জাতিগত সহিংসতায় বিপর্যস্ত মণিপুরে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
এনডিটিভি বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মণিপুরের চুরাচাঁদপুরের রেংকাই (লামকা) এলাকায় একটি হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছে উপজাতীয় সংগঠন হামার স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসএ)। তবে সিনেমাটির নাম প্রকাশ করেনি তারা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার মধ্যরাতের পর জারি করা এক বিবৃতিতে এইচএসএ বলেছে, তারা মঙ্গলবার দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশ্যে হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ প্রতি আমাদের অবাধ্যতা এবং বিরোধিতা প্রদর্শনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব গোষ্ঠী কয়েক দশক ধরে আদিবাসীদের পরাধীন করে রেখেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার এগিয়ে নিতে আমাদের সাথে যোগ দিন।’
এইচএসএ জানিয়েছে, সর্বশেষ হিন্দি চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৯৮ সালে মণিপুরে প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্বাধীনতা দিবস বয়কটের ঘোষণা দেওয়া দেশবিরোধী ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ থেকে আমরা আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করব।’
এনডিটিভি বলছে, মণিপুরের বিদ্রোহী সংগঠন রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যটিতে হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন, সেই বছর ১২ সেপ্টেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করার এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্রোহীরা রাজ্যের আউটলেটগুলো থেকে সংগ্রহ করা ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার হিন্দি ভিডিও, অডিও ক্যাসেট এবং কমপ্যাক্ট ডিস্ক পুড়িয়ে দেয়।
যদিও আরপিএফ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে হিন্দি চলচ্চিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনও কারণ সামনে আনেনি, তবে কেবল অপারেটররা বলেছিলেন, মণিপুর রাজ্যের ভাষা ও সংস্কৃতিতে বলিউড চলচ্চিত্রের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট।
টিএম