মেয়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পুলিশি হেফাজতে নিহত হওয়া ইরানি তরুণী মাহসা আমিনির বাবা।

গত বছর হিজাব পরিধানের বিধান লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। এরপর তাদের হেফাজতেই ১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির মৃত্যু হয়।

অবশ্য তার বাবাকে গ্রেপ্তারের পর আবার ছেড়ে দিয়েছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে আমিনির মৃত্যু হওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো ইরান। যা কয়েক মাস ধরে চলেছিল। তবে ইরান সরকার এই বিক্ষোভ কঠোরহস্তে দমন করে।

আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে— তাকে স্মরণ করে যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।

মানবাধিকার সংস্থা কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, আমিনির বাবা আমজাদ আমিনিকে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিরাপত্তা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তাকে নিয়ে যেন কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করা হয়।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, মাহসা আমিনির বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তাকে কোনো ধরনের হুঁশিয়ারি বা অল্প সময়ের জন্য আটক করা হয়েছিল কিনা সেটি জানায়নি ইরনা নিউজ।

শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকজন জানান, মাহসা আমিনির বাড়ির সামনে অস্ত্রসস্ত্রসহ আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও গত সপ্তাহে আমিনির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তারা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবেন এবং তার কবরে যাবেন। কিন্তু দেশটির প্রশাসনের আশঙ্কা, সাধারণ মানুষ জড়ো হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। সেটি চিন্তা করে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই