পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় পরিচালিত এক সেনা অভিযানে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি চক্রের অন্যতম হোতা ছিলেন বলে দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাক সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখা ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর খাইবার পাখতুনখোয়ার মারদান ও কুররম জেলায় সেনা অভিযান পরিচালনা করেছে সেনা সদস্যদের দল। এই অভিযানে কথিত ‘সন্ত্রাসী চক্রের হোতা’ ফয়সাল এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদস্য ল্যান্স নায়েক ঘাইরাত খান নিহত হয়েছেন।’

আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, মরদান জেলার কাতালাং এলাকায় সেনাসদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ফয়সাল। হত্যার পর তার গোপন ডেরা থেকে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ জব্দ করা হয়েছে।

‘নিহত ফয়সাল আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাইলি ওয়ান্টেড টার্গেট ছিলেন। বহুদিন ধরেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল,’ শুক্রবারের বিবৃতিতে জানিয়েছে আইএসপিআর।

পাকিস্তান সেনাবহিনীর ল্যান্স নায়েক ঘাইরাত খান অবশ্য মারদান অভিযানে নিহত হননি; তিনি প্রাণ হারিয়েছেন কুররম অভিযানে। আইএসপিআরের বিবৃতিতে তাকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনাচক্রে, যেদিন এই বিবৃতি দিয়েছে আইএসপিআর— সেদিনই বেলুচিস্তান প্রদেশের মাসতাং জেলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবির মিছিল এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারে ভয়াবহ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও শতাধিক বেসামরিক নিরীহ মানুষ। বেলুচিস্তানের বোমা হামলাটি আত্মঘাতী হামলা ছিল।

এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি, পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সূত্র : জিও নিউজ

এসএমডব্লিউ