হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের সাথে কথা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি | ফাইল ছবি
ইসরায়েলের সাথে চলমান তীব্র লড়াইয়ের মাঝে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রোববার তিনি এই দুই সংগঠনের নেতাদের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখালাহ ও হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর সাথে ভিন্ন টেলিফোন কলে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তবে তাদের মধ্যে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি ইরনা। এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলায় ইসরায়েলিদের প্রাণহানির সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা হামাসের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও দুই হাজারের বেশি ইসরায়েলি।
আর ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। লড়াই শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিকভাবে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলা শুরুর প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে গাজার এই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। পরে হামাসের শত শত যোদ্ধা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়।
ইসরায়েল ও হামাসের চলমান লড়াইয়ের মাঝে ১০ জনের বেশি লোকজনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ।
গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর লড়াই অব্যাহত থাকায় সারাদেশের সব স্কুল আগামী দিনে বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণাঞ্চলের নেতানিয়া এবং মধ্যাঞ্চলের নেগেভে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শর্ত সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। এই দুই এলাকার নিকটবর্তী বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে সাধারণ জনগণের যাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা গেলেই কেবল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখা যাবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, বাড়ির বাইরে ১০ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি বাড়ির ভেতরেও ৫০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না।
সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।
এসএস