মিসর ও গাজা ভূখণ্ডের একমাত্র পারাপার পয়েন্ট রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মার্কিন এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মিসরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। মিসরের কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার বাসিন্দারা তাদের ভূখণ্ডেই থাকবেন এবং সেখানে ইসরায়েলি হামলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তবে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগে সহায়তা করার কথা জানিয়েছে মিসর।

শনিবার মিসরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে মিসরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিসরীয় কর্তৃপক্ষ রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মার্কিন এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মিসরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। ক্রসিংটি গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কাজে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

তারা বলেছেন, মিসরীয় কর্তৃপক্ষ কেবল বিদেশীদের জন্য রাফাহ ক্রসিং ব্যবহারের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। চলমান যুদ্ধে মিসরের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার। এখন গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

মিসরের ইউনাইটেড মিডিয়া সার্ভিসের মালিকানাধীন একটি সংবাদ সংস্থা আলকাহেরা নিউজ। এই সংবাদমাধ্যমের সাথে দেশটির সরকারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিকদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং শনিবার বিকেলের দিকে খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানানোর পর মিসর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের একজন সীমান্ত কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, রাফাহ ক্রসিংয়ে কংক্রিটের স্ল্যাব স্থাপন ও সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। স্ল্যাবগুলো ক্রসিংয়ের মিসরীয় অংশে স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শত শত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত বিদেশি পাসপোর্টধারী শনিবার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে ছুটে এসেছেন। রাস্তা পার হওয়ার অপেক্ষায় সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন তারা। তবে সীমান্তের সব গেট বন্ধ রয়েছে এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

গাজায় ৫০০ থেকে ৬০০ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করছে। কতজন গাজা থেকে চলে যাওয়ার জন্য সহায়তা চেয়েছেন সেবিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। তবে তিনি বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ের পরিস্থিতি ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন।

এসএস