চলন্ত বাসে চালকের হার্ট অ্যাটাক, যেভাবে বাঁচল যাত্রীদের প্রাণ
প্রতীকী ছবি
রাতের শহরে ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল একটি বাস। হঠাৎ অঘটন। হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলেন চালক। নিজে বাঁচতে না পারলেও যাত্রীদের প্রাণে বাঁচিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে ভারতের ওডিশার ভুবনেশ্বরের কন্ধমল জেলা থেকে ৪৮ জন যাত্রী নিয়ে মধ্যরাতে বের হয়েছিল বাসটি। ভোররাতের দিকে গাড়ি যখন কন্ধমল জেলার পাবুরিয়া গ্রামে, তখন চালক সানা প্রধান অসুস্থবোধ করতে শুরু করেন। স্টিয়ারিং বসা অবস্থাতেই বুক ধড়ফড় করতে থাকে তার। বুকে যন্ত্রণাও অনুভব করেন। কিছুতেই স্টিয়ারিং সামাল দিয়ে উঠতে পারছিলেন না। বুঝতে পারছিলেন, পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক হচ্ছে। এরপর আর স্টিয়ারিং সামাল দিতে পারবেন না।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় টিকাবালি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কল্যাণময়ী সেন্ধা বলেন, বাসটির চালক বুঝতে পারেন তিনি আর গাড়ি চালাতে পারবেন না। বেশিক্ষণ স্টিয়ারিংয়ে বসে থাকা সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে যাত্রীদের বাঁচাতে উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করেন তিনি। বাসটিকে নিয়ে রাস্তার পাশের একটি দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ান। তাতেই হঠাৎ থেমে যায় বাসটি। প্রাণে বেঁচে যান ৪৮ যাত্রী।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
‘মা লক্ষ্মী’ নামে এই বেসরকারি বাসটি সাধারণত কন্ধমলের সরংগড় থেকে ভুবনেশ্বর হয়ে উদয়গিরি যায় প্রতি রাতে। শুক্রবার রাতেও সেই গন্তব্যের উদ্দেশে বের হয়েছিল যাত্রীবাহী বাসটি। ঘটনার পর বাস চালককে কাছের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট।
এ ঘটনার কিছু সময় পর বাসের জন্য অন্য চালক আনা হয়। বিলম্বে হলেও গন্তব্যে পৌঁছান যাত্রীরা। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বাস চালকের। মরদেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। এছাড়াও একটি রুটিনমাফিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে যাত্রীরা মৃত চালকের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন।
এসএসএইচ