ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের অন্তর্ভুক্ত সাবরা তেল আল হাওয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মোস্তফা দাল্লৌলকে হত্যার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, আগের দিন বৃহস্পতিবার উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ) ও স্থল বাহিনীর রাতভর অভিযানে মোস্তফা দাল্লৌল এবং তার ব্যাটালিয়নের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

পৃথক এক অভিযানে গাজার উত্তরাঞ্চলে বেইত হানোন এলাকায় আল কাসেম ব্রিগেডের একটি গোপন আস্তানা থেকে বিপুল পরিমান অ্যাসল্ট রাইফেল, সাব মেশিনগান, গ্রেনেড, বিস্ফোরক, আরপিজি, গোলাবারুধ ও গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে আইডিএফ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত ও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। গাজার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

আইএএফের বিমান অভিযান শুরুর ২ দিন পর ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের কারণে গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় মিসর। গাজার অন্যান্য সীমান্তপথ ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে থাকায় উপত্যকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জন্য এই সীমান্তপথটি ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত। গাজার বাসিন্দাদের খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের চালান আসত এই সীমান্তপথ দিয়েই।

প্রায় দু’সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যস্থতায় রাফাহ ক্রসিং দিয়ে খাদ্য, চিকিৎসা উপকরণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীবাহী ট্রাক ঢোকা শুরু করলেও জ্বালানি তেলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজায় জ্বালানি তেল প্রবেশ করতে দিলে তা হামাস চুরি করে নিজেদের কাজে লাগাবে।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত প্রায় এক মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। চলতি সপ্তাহ থেকে উপত্যকায় স্থল অভিযানও শুরু করেছে আইডিএফ।

এই যুদ্ধে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের কিছু বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ হাজার।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

এসএমডব্লিউ