গতকাল গভীর রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪। 

দিনের আলো ফুটতেই স্পষ্ট হচ্ছে ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলার চিত্র। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে এ পর্যন্ত ১২৮ জনের নিহত হওয়ার খবরও বলা হচ্ছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।  

তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি মাটির ১১ মাইল গভীরে হয়েছিল এবং প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৫.৬। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল কাঠমান্ডুর প্রায় ২৫০ মাইল উত্তর-পূর্বে জাজারকোটে। 

ভূমিকম্পে রুকুম জেলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে, যেখানে অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা নরভরাজ ভট্টরাই টেলিফোনে এপিকে এ তথ্য দিয়েছেন। ভট্টরাই বলেন, আহত ৩০ জনকে ইতিমধ্যে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী জাজারকোট জেলায় ৩৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা হরিশ চন্দ্র শর্মা এ তথ্য জানিয়েছেন।   

ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল। তিনি জানিয়েছেন আহতদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য ৩টি নিরাপত্তা সংস্থা কাজ করছে।  

নেপালের এই ভূকম্পন ৮০০ কিলোমিটার দূরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়েছিল। দিল্লি ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়। 

প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। ২০১৫ সালে একটি ৭.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ১০ লাখ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। 

এনএফ