দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যেই গাজায় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। আর এ বৃষ্টিতে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা। সঙ্গে বাড়িয়েছে ঘর-বাড়ি ছেড়ে অচেনা ও খোলা জায়গায় আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে, যেখানে এখন অস্থায়ী বাসস্থানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন, সেখানে তাদের তাঁবুতে প্রবেশ করেছে বৃষ্টির পানি। এতে করে তাদের জিনিসপত্র ভিজে গেছে। এছাড়া যেসব বিছানায় তারা থাকতেন সেগুয়ো স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে।

এছাড়া বৃষ্টির কারণে শুরু হওয়া শীতেও কষ্ট পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাদের বেশিরভাগের কাছেই উষ্ণ কাপর-চোপর নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় নিজেদের উষ্ণ রাখার কোনো উপায়ও তাদের কাছে নেই।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর জীবন বাঁচাতে উত্তরাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে চলে এসেছেন। তাদের অনেকেই জাতিসংঘের স্কুল বা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের কাছে অর্থও নেই। তারা যে উষ্ণ কাপড়সহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন সেই সুযোগও নেই।

 ইসরায়েলিদের হামলার মধ্যেই বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন আরও কষ্টের মধ্যে পড়বেন সাধারণ মানুষ। আর তাদের এ দুর্ভোগ কবে শেষ হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: মিডেল ইস্ট আই

এমটিআই