ভারতের উত্তরাখণ্ডে নির্মাণাধীন টানেলে ধসের পর সেখানে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও সময় লাগবে। ফলে তাদের কাছে এখন ভাত-রুটি-তরকারি পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। 

এরইমধ্যে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে ৪২ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে পাইপ। ওই পাইপ দিয়েই পাঠানো হবে এসব খাবার। এসবের সঙ্গে অবসাদ কাটানোর ওষুধও পাঠানো হচ্ছে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে।

গতবাল সিল্কিয়ারায় দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। গডকড়ী জানান, হিমালয় অঞ্চলের ভূস্তর এক রকমের না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তার দাবি, শক্তিশালী যন্ত্রে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সর্বশেষ যে চেষ্টা হয়েছিল, সেটাই ছিল উদ্ধারের দ্রুততম পদ্ধতি। নরম মাটি দিয়ে খনন ভালোই চলছিল। কিন্তু শক্ত স্তর খুঁড়তে গিয়ে প্রবল কম্পনে নতুন করে ছাদ ধসে পড়ে। 

বিকল্প ছয়টি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান গডকড়ী।  সুড়ঙ্গের ছাদ আর ধ্বংসস্তূপের মাঝে অল্প ফাঁকা জায়গা রয়েছে। খতিয়ে দেখতে সেখান দিয়ে রোবট পাঠানোর কথা বলেছেন তিনি। জানান, সার্ভে অব ইন্ডিয়া আকাশ থেকে সমীক্ষা করছে। তার দাবি, সব ঠিকঠাক চললে আর দু’-তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার সম্ভব হতে পারে। 

গত ১২ নভেম্বর ভোর ৪টায় উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন এই টানেলের ভেতরে ধসের ঘটনা ঘটে। টানেলটিতে নির্মাণকাজ চলছিল। বহু শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই সুড়ঙ্গের কাঠামো ভেঙে পড়ে।

আর এরই জেরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েন ওই ৪১ জন শ্রমিক।

এখন তাদের উদ্ধারে বিকল্প যেসব পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে— ওপর থেকে পাহাড় খুঁড়ে দুর্গতদের কাছে সুড়ঙ্গের ছাদ ফুঁড়ে পৌঁছানো। যেখানে শ্রমিকেরা আটকে, তার দু’পাশের দেওয়াল ফুঁড়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে পাহাড়ের দু’জায়গা থেকে আড়াআড়ি খননের কথাও বলা হচ্ছে।  

এনএফ