গ্রাহকের ভুলে ১২ কিলো ভুল পথ পাড়ি ডেলিভারি বয়ের
ভারতের হায়দরাবাদে এক অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থায় সামান্য বেতনে চাকরি করা যুবক যেন মানবিকতা শেখালো সবাইকে। ডেলিভারি বয়ের কাহিনি রাতারাতি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগি ডেলিভারিতে চাকরি করা যুবক গ্রাহকের ভুলে রাতের বেলায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা অতিরিক্ত বাইক চালিয়েই গ্রাহকের হাতে খাবার পৌঁছে দেন। এতে একটুও বিরক্ত হননি তিনি বরং তিনি মনে করেন 'কাউকে ক্ষুধার্ত রাখা মানবিকতা নয়।' ওই গ্রাহকের ভুল কিন্তু তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। এতে তার বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই।
বিজ্ঞাপন
তমাল সাহা নামে এক গ্রাহক সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন অনলাইনে খাবার কেনার তার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি থাকেন হায়দরাবাদে। শহরে নতুন আসা এ যুবক সুইগি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন। এদিকে ভুল ঠিকানা যে তিনি ওই ডেলিভারি বয়কে দিয়েছেন সেটি বুঝতেও পারেন নি। এদিকে সকালে থেকেই না খাওয়া ওই যুবক। ভুল ঠিকানা দেওয়ায় খাবার পৌঁছাতেও দেরি হচ্ছে। হঠাৎ ফোন ডেলিভারি বয়ের। পরে সঠিক ঠিকানা নিয়ে আবার নতুন পথে রওনা দেন তিনি।
রাত ৩টায় গ্রাহকের বাড়িতে হাজির হন। ভুলে ফিরে যেতেই পারতেন ওই ডেলিভারি বয়। কিন্তু তা তিনি করেননি। বরং হেঁটেছেন উল্টো পথে অতিরিক্ত ১২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিনি ওই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন খাবার। যা দেখে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তমাল। বিপরীত দিক থেকে ডেলিভারি বয় একটাই কথা বলে উঠলেন, 'আপনি সারাদিন কিছু খাননি। কাউকে ক্ষুধার্ত রাখা মানবিকতার পরিচয় নয়। তাই এত রাত হলেও এলাম।'
বিজ্ঞাপন
ডেলিভারি বয়ের এমন আচরণ সত্যি মুগ্ধ করে ওই গ্রাহককে। আর এ ঘটনা তিনি শেয়ার করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি এক্সে লিখেন, ওই ডেলিভারি বয়ের নাম মহম্মদ আজম। হৃদয় জিতে নিয়েছেন তিনি। এই স্মৃতির কথা আজীবন তার মনে থেকে যাবে। পরে ওই ডেলিভারি বয়কে বিদায় দেবার সময় তমাল মহম্মদকে জিজ্ঞেস করেন তিনি কখন খাবেন? উত্তরে মহম্মদ জানান, বাড়ি ফিরে তারপর খাবেন। একসঙ্গে খাবার ভাগ করে খাওয়ার কথাও বলেন তমাল। তবে হাসিমুখে সে অফার ফিরিয়ে দিয়ে মহম্মদ বলেন, 'না না আমি বাড়ি গিয়েই খাব। আপনি শুধু আমার জন্য একটু প্রার্থনা করবেন।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পিএইচ