হামলায় বহুসংখ্যক ইসরায়েলি সেনা হতাহত, দাবি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর
অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় গাজা থেকে বের হয়ে যাওয়া একটি ইসরায়েলি ট্যাংকের বহর -ফাইল ছবি
সাতদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। বিমান হামলার পাশাপাশি ট্যাংক নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান শহর খান ইউনিসে ঢুকে পড়েছে তারা।
তবে খান ইউনিসের দিকে আসা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর বড় হামলার দাবি করেছে ফিলিস্তিনের দ্বিতীয় বৃহৎ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু হামজা বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দাবি করেছেন, তাদের যোদ্ধারা ‘ইসরায়েলি শত্রুদের বেশ কয়েকটি সামরিক যান ধ্বংস করেছে।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, খান ইউনিসের পূর্ব দিক থেকে অগ্রসরমান ইসরায়েলি সেনাদের ওপর তাদের যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় উল্লেখসংখ্যক ‘শত্রু সেনা’ হতাহত হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, যা বোঝা যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা গাজা উপত্যকার খান ইউনিসকে উত্তরাঞ্চলের দের এল-বালাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। গত রোববার স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, এই দুই শহরের মাঝ বরাবর যে সড়ক রয়েছে সেখানে প্রায় ১৫০টি ইসরায়েলি ট্যাংক, সাজোঁয়া যান এবং অন্যান্য বাহন অবস্থান নিয়ে আছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযুজ্ঞ চালায়। এরপর হামাসের সঙ্গে তাদের সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চলে। এ বিরতি শেষে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা শুরু করে তারা। ইসরায়েলিরা দাবি করছে, হামাসের বেশিরভাগ যোদ্ধা এবং কমান্ডার খান ইউনিসে অবস্থান করছেন।
সূত্র: আলজাজিরা
এমটিআই