বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর দাঁড়িয়ে আছেন দুই ফিলিস্তিনি -ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান নিয়ে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। তবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

গত দুই মাস ধরে দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয় ঠেকাতেই জাতিসংঘের মহাসচিব তার বিশেষ ক্ষমতাবলে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন। গতকাল পরিষদে যখন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন গাজার সাধারণ মানুষ কিছুটা আশা দেখেছিলেন; ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কারণে সেটি ভেস্তে গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মার্কিনিদের ভেটো নিয়ে গাজার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। সংবাদমাধ্যমটিকে কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো নিয়ে তারা একটুও আশ্চর্য হননি। কারণ তারা জানতেন, যুদ্ধবিরতিতে তারা বাধা দেবেই।

এক নারী বিবিসিকে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র না বলা পর্যন্ত এ যুদ্ধ বন্ধ হবে না।’

আলা-আল-সাকা নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, তার মনে হচ্ছে গাজাবাসীকে ‘নম্বর আর ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোকে তিনি ‘প্রহসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

রাফাত আবু দানহে নামের এক বৃদ্ধ বলেছেন, ‘আমি অনেক আশা করেছিলাস প্রস্তাবটি পাস হবে। হয়নি। এতে আমি হতাশ। আমাদের সাথে এখন শুধুমাত্র আল্লাহ আছে। আমরা বিশ্বের সব দেশকে বলছি— পশ্চিমা, আরব— যে আমাদের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। কারণ আমরা এখন ট্যাজেডির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ীসহ মোট ১৫টি দেশ রয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। আর ভোটদান থেকে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই