ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-অরৌরিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি ভবনে ড্রোন হামলা চালিয়ে সালেহ আল-অরৌরি ও আল-কাসেম ব্রিগডসের দুই কমান্ডারসহ সাতজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ওই হামলার পরই প্রতিশোধ ও ‘শাস্তি’ দেওয়ার হুমকি দেয় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, ইসরায়েলের দখলকৃত মার্জ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে।

হিজবুল্লাহ আরও জানিয়েছে, সালেহ আল-অরৌরিকে হত্যার পর প্রতিশোধ নেওয়ার যে কথা তারা দিয়েছিল, সেই কথা অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই মিসাইল হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানায়নি হিজবুল্লাহ। এছাড়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে সেনাদের ওপর হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো কিছু জানানো হয়নি।

তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইলের আঘাতে মানেরার একটি সেনা চৌকির দুই সেনা সামান্য আহত হয়েছে।

সালেহ আল-অরৌরিকে হত্যার পর শঙ্কা দেখা দিয়েছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ এখন লেবাননে ছড়াতে পারে।

তিন মাস আগে যখন এ যুদ্ধ শুরু হয় তখনই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এটি একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। হামাসের উপপ্রধানকে হত্যার পর এ শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই