ইরানে নিহতের সংখ্যায় ফের বদল, হামলার দায় স্বীকার আইএসের
ইরানে প্রাণঘাতী জোড়া বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলায় নিহতের সংখ্যায় আবারও সংশোধন এনেছে ইরান। আগে প্রকাশিত সংখ্যা থেকে প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে দেশটি বলেছে, হামলায় ৮৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পাইমাস্টার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার বার্ষিকী উপলক্ষে ইরানে একটি বোমা হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস)। দিন দুয়েক আগে দক্ষিণ ইরানের কেরমানে হওয়া সেই হামলায় ৮৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
গত বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থল থেকে কয়েকশ মিটার দূরের এই বিস্ফোরণে প্রায় একশো জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হন।
বিজ্ঞাপন
ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা ইরনা প্রাথমিকভাবে ১০৩ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, হামলায় আরও ২১১ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরে ইরানি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাহরাম আইনোল্লাহি নিহতের সংখ্যা সংশোধন করে বলেন, ‘সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সঠিক সংখ্যা ৯৫ জন’। তিনি বলেন, আগের সংখ্যা ১০৩ হওয়ার কারণ ছিল কিছু নাম ‘ভুল করে দুবার নিবন্ধিত হয়েছিল’।
তবে বৃহস্পতিবার ইরানের জরুরি পরিষেবার প্রধান হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৮৪ জনে নামিয়ে আনেন। এছাড়া ইরান প্রাথমিকভাবে বলেছিল, প্রাণঘাতী এই হামলার পেছনে অবশ্যই ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জড়িত রয়েছে।
বিবিসি বলছে, আইএস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে এই হামলা চালানোর দাবি সামনে এনেছে। গ্রুপটি পরে তার নিউজ আউটলেট আমাক-এ দুজন মুখোশধারী লোকের ছবি প্রকাশ করে। ওই দুজন হামলার জন্য দায়ী বলেও জানায় এই গোষ্ঠীটি।
আইএস ওই হামলাকারীদের নাম ‘ওমর আল-মুওয়াহিদ’ এবং ‘সাইফুল্লাহ আল-মুজাহিদ’ বলে জানিয়েছে। তবে এই ধরনের নামের মাধ্যমে আক্রমণকারীরা ইরানি নাকি বিদেশি ছিল তা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েক দফায় ইরানে বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে আইএস। এছাড়া এই গোষ্ঠীটি ২০২০ সালে জেনারেল সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডকেও স্বাগত জানিয়েছিল।
টিএম