ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মালদ্বীপের মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার জেরে এবার মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম সাহিবকে তলব করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। সোমবার তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়া একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গেছে, সোমবার ভোরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক এলাকায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দফতরে ঢুকছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত। কিছু সময় পর তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেও দেখা যায়।

সম্প্রতি ভারতের সর্বদক্ষিণের রাজ্য কেরালার উপকূলবর্তী লাক্ষাদ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভ্রমণের কিছু ছবি শেয়ার করেন তিনি।

তার এই ছবি প্রকাশের পর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ পর্যটন দেশ মালদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ সমালোচনা করেন। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় পর্যটকদের মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের বার্তা দিতেই এসব ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

কিছু ছবিতে তাকে ‘জোকার’ বা ‘পুতুল’ বলে মন্তব্য করা হয়। আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক নিয়েও। পরে অবশ্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে মালদ্বীপের মন্ত্রী-রাজনীতিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সেসব মন্তব্য মুছে দিয়েছেন।

মালদ্বীপ সরকার প্রথম দিকে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও পরে সে দেশের বিরোধী দলগুলিও এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনা শুরু করে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি (যাকে পরাজিত করে মুইজ্জু সম্প্রতি ক্ষমতায় এসেছেন) এবং আর এক সাবেক প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ মোদীর সমালোচনা করা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভারত মলদ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এর পরই ঘরে-বাইরে চাপের মুখে মুইজ্জু সরকার তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রী হলেন মরিয়ম শিউনা, মালশা শরিফ এবং মাহজুম মজিদ।

সূত্র : এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ