ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ বাধার আগে দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করতেন হাজার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে যখন তুমুল লড়াই শুরু হয় তখন ফিলিস্তিনি কর্মীদের ছাঁটাই করা হয় এবং গাজায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

হঠাৎ করে ফিলিস্তিনিদের ছাঁটাইয়ের কারণে অবৈধ ইসরায়েলে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। আর এই সংকট দূর করতে ভারত থেকে কয়েক হাজার শ্রমিক নিচ্ছে ইসরায়েল।

বর্তমানে যুদ্ধরত ইসরায়েলে গিয়ে কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ভারতীয়রা। কারণ তারা নিজ দেশে যে অর্থ আয় করেন— ইসরায়েলে গেলে তার চেয়ে চার গুণ আয় করতে পারবেন।

তবে ভারতের ট্রেড ইউনিয়নগুলো এ ব্যাপারে সতর্কতা দিয়েছে। তারা বলছে, যেসব ভারতীয় ইসরায়েলে যাবেন তাদের আইনগত সুরক্ষা এবং অধিকারের নিশ্চিয়তার ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ইসরায়েলে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে কীভাবে তারা সহায়তা পাবেন— সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে না।

গত নভেম্বরে ভারতের জনশক্তি উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে তিন বছর মেয়াদী একটি ‘অস্থায়ী কর্ম’ চুক্তি করেছে তারা।

ইসরায়েলে শ্রমিক পাঠাতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, যারা ইসরায়েলে যাচ্ছেন তারা ভারতের অভিবাসন সিস্টেমে নিবন্ধিত হবেন না। এই সিস্টেমে নিবন্ধনের মাধ্যমে যারা বিদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান তারা কিছু সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।

এছাড়া ইউনিয়নগুলো বলছে, ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে ইসরায়েলিরা যে ব্যবহার করত; ভারতীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কি একই ধরনের ব্যবহার করবে কি না সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

ভারতের নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কে হীমালতা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজকে বলেছেন, ‘তারা ফিলিস্তিনি শ্রমিকদের বিতাড়িত করেছে এবং সেখানে ভারতীয় শ্রমিকদের নিতে চাচ্ছে। ভারতীয় শ্রমিকদের আসলে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে। কিন্তু ভারতের কোনো মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিচ্ছে না।’

এই নেত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারতীয়দের তাদের সরকার ইচ্ছেকৃতভাবে যুদ্ধরত একটি অঞ্চলে পাঠাচ্ছে।

সূত্র: আরব নিউজ

এমটিআই