কাতারের রাজধানী দোহায় দখলদার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনা ফের শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছে মিসর, কাতার, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র এবং হামাসের প্রতিনিধিরা।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মিসরীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

গতকাল শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির একটি কাঠামো তৈরি করা হয়। এর পরের দিনই দোহায় ওই কাঠামোর ওপর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেল আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, ‘প্যারিসে যেসব আলোচনা হয়েছে দোহায় সেটিরই ধারাবাহিকতা হচ্ছে। এরপর কায়রোতে আলোচনা হবে।”

প্যারিসে গতকাল যুদ্ধবিরতির যে কাঠামো তৈরি করা হয় সেটির ওপর টেলিফোনে নিজেদের সম্মতি দেন দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার সদস্যরা। এরপর দোহায় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়।

পরিচয় গোপন রাখা ইসরায়েলি সূত্রের বরাতে এক্সিউস জানিয়েছে, দোহায় ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের খুব বেশি বলার থাকবে না। মূল আলোচনাটি হবে সম্ভাব্য চুক্তির ওপর।

মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, দোহায় আলোচনা শেষে ইসরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিরা মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবেন। সেখানে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো এবং এটি কার্যকরের পদ্ধতি নিয়ে কথাবার্তা হবে।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, প্যারিসে সব পক্ষ সম্মত হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলের ৪০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এরমধ্যে থাকবে নারী, বৃদ্ধ এবং অসুস্থরা। এই ৪০ জনকে মুক্তির বদলে গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চলবে।

অপরদিকে দখলদার ইসরায়েল কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। তাদের সেনারা গাজার মধ্যেই থাকবে কিন্তু আশপাশে সরে যাবে। গাজার উত্তরাঞ্চলে নারী ও শিশুদের ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে। গাজায় বর্বরতা শুরুর পর উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব বাসিন্দাকে দক্ষিণাঞ্চলে সরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর ওই অঞ্চলকে  কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই