রমজান মাসে ব্যায়ামের যে রুটিন রয়েছে সেটি ঠিক রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যখন আপনি ঘুমের জন্য কম সময় পান এবং কম পানি খেতে হয়।

তবে রোজা রেখেও যদি ব্যায়ামের সময় বের করা যায় তাহলে এটি শুধুমাত্র আপনাকে স্বাস্থ্যবান করবে না। সঙ্গে আপনার শক্তি বৃদ্ধি করবে, পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াবে এবং আপনার ব্রেনকে সচল রাখতে সহায়ক হবে।

রোজার ৩০ দিনে ব্যায়াম করা কঠিন হয়ে পড়লেও বিশেষজ্ঞরা রোজা রাখা একই সঙ্গে ব্যায়াম করার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেছেন।

রোজার মধ্যে ব্যায়ামের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় কোনটি?

কেনিয়ার নাইরোবির জিম ইনস্ট্রাক্টর ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ আব্বাস আলী সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, “কিছু মানুষ ওজন কমাতে চায়। কেউ কেউ পেশী বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম করেন। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য রমজান মাসটি সবচেয়ে ভালো।”

“ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডায়েট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। যার মধ্যে থাকবে বেশি পরিমাণ পুষ্টি আর কম কার্বোহাইডেড।”

আব্বাস জানিয়েছেন, যেহেতু রোজা রাখলে শরীর একটু দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করা ভালো।

তিনি বলেছেন, “যিনি রোজা রাখছেন তার জন্য রাতে ব্যায়াম করা উত্তম। যার ওজন কমছে তার জন্য রোজা রেখে ব্যায়াম করা কঠিন। ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত সময় হলো রাত ৯টা।”

অপরদিকে যে ব্যক্তির শরীর মোটা অথবা স্বাস্থ্য ভালো তাদের রোজা রেখেই ব্যায়াম করা ভালো।

তিনি বলেছেন, “বিকেলের শেষ দিকে অথবা ইফতারের আগের দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করা তাদের জন্য ভালো। কারণ উক্ত ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে থেকেছে। তার শরীরে যে খাবার ছিল সেগুলো ফুরিয়ে গেছে। ওই সময় ব্যায়াম করার জন্য শরীর যে শক্তি ব্যবহার করতে পারে সেটি হলো দেহের চর্বি।”

এরমাধ্যমে মোটা ব্যক্তির ওজন দ্রুত সময়ের মধ্যে কমবে। অপরদিকে যারা চিকন এবং পেশী গঠনের কাজ করছেন তাদের রোজা ভাঙার পর ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কতটা ব্যায়াম করা যাবে?

রমজান মাসে যারা ব্যায়াম করেন তারা কিছু ভুল করে থাকেন। একটি ভুল সবাই করেন সেটি হলো তারা কেুউ সময়সূচি নিয়ে পরিকল্পনা করেন না। আর বিষয়টি তাদের পেশীতে প্রভাব ফেলে। কারণ রোজা রাখার কারণে ঘাটতি পূরণে মানবদেহ নিজেকে সক্রিয় রাখতে বাড়তি শক্তি ব্যবহার করে।

আব্বাস পরামর্শ দিয়েছেন ব্যায়ামের জন্য শরীরকে চাপ দেওয়া যাবে না মানে সক্ষমতার বেশি ব্যায়াম করা যাবে না। তবে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে ব্যায়াম করতে হবে।

এছাড়া রমজান আসলে অনেকে ব্যায়াম পুরোপুরি ছেড়ে দেন। আব্বাসের মতে এ কারণে এ মাসে অনেকের পেশী দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরে চর্বি জমে যায়।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই